Advertisement

Bankura News: দিনে-রাতে ঢিল পড়ছে বাড়ির চালে, আতঙ্কে গ্রামবাসী

দিনরাত ‘ধুপধাপ’ আওয়াজ হচ্ছে, ঢিলে ভাঙছে বাড়ির চাল, অ্যাসবেসটস। পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না ‘উপদ্রব'। ঘটনা বাঁকুড়ার মেট্যালা গ্রামে। ঘটনার জল গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত।

বাঁকুড়াবাঁকুড়া
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কলকাতা,
  • 26 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:54 PM IST
  • দিনরাত ‘ধুপধাপ’ আওয়াজ হচ্ছে, ঢিলে ভাঙছে বাড়ির চাল, অ্যাসবেসটস।

দিনরাত ‘ধুপধাপ’ আওয়াজ হচ্ছে, ঢিলে ভাঙছে বাড়ির চাল, অ্যাসবেসটস। পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না ‘উপদ্রব'। ঘটনা বাঁকুড়ার মেট্যালা গ্রামে। ঘটনার জল গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে ছাতনা থানার পুলিশ।

এই ঢিল পড়ার উপদ্রবের সূত্রপাত দিন সাতেক আগে। আচমকাই এই গ্রামের একাধিক বাড়িতে ঢিল পড়তে শুরু করেছিল। প্রথমে গ্রামের বাসিন্দারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কেউ কেউ ভেবেছিলেন, পাড়ার খুদেদের দুষ্টুমি। অনেকের সন্দেহ ছিল, কেউ হয়তো ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্য এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। কিন্তু একদিন নয়, গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, যখন-তখন গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঢিল পড়তে শুরু করে। যদি দিনের বেলা কারও বাড়ি ফাঁকা থাকে, তাহলে সেই সময়েও ঢিল পড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাড়ির চাল। কে বা কারা এই ঢিল ছুড়ছে তা জানতে গ্রামের যুবকরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। যতক্ষণ নজরদারি চলছে, সেই সময়ে ঢিল পড়া বন্ধ। কিন্তু ভোরের দিকে পাহারাদারদের চোখে ঘুম জড়ালেই ফের শুরু হচ্ছে ঢিলের উৎপাত।

এ দিকে অধিকাংশ গ্রামবাসী যখন এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের হাত দেখছেন, তখন কেউ কেউ আবার গোটা ঘটনাটিকে ‘অলৌকিক’ অ্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কোনও রকম কুসংস্কার কিংবা আতঙ্ক নয়, নিজেরাই পাহারা দিয়ে খোঁজার চেষ্টা চলছে। গ্রামবাসী সোনালী দাস জানান, বিগত সাত আট দিন ধরে রাতের বেলায় দুমদাম পাথর পড়ছে বাড়ির চালে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে ছাতনা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার। বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক চাপে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। ছাতনা পুলিশের আশ্বাস পেয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তাঁরা।

রিপোর্টারঃ নির্ভীক চৌধুরী

Read more!
Advertisement
Advertisement