রাজনীতিতে আনকোরা হলেও সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে নজর কেড়েছিলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। জয়ের পরেই অবশ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বায়রন। তখন খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। সেই বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতেই এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার হানা।
সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের সামশেরগঞ্জে অবস্থিত বাড়ি ও হাসপাতালে হঠাৎ হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। বুধবার সকাল সকাল বিশাল গাড়ি বহর এসে পৌঁছয় বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতে। নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয় বায়রন বিশ্বাসের বাড়ি। তারপরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। জানা যাচ্ছে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বায়রনের বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ।
সামসেরগঞ্জের বাড়িটি বায়রনের বাবার নামে হলেও বায়রন ওই বাড়িতেই থাকেন। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রয়াত হন সাগরদিঘির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘির উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হযন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন। কিন্তু জুন মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা ঘাটালে পৌঁছলে সেখানে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বায়রন।
উল্লেখ্য, বায়রনের বাবা বাবর আলি বিশ্বাস ছিলেন কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন। মানুষের উপকার করতে পছন্দ করতেন তিনি। কাঞ্চনতলা জেডি ইন্সস্টটিউশন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন বায়রন। তারপর আর পড়াশোনা হয়নি। পরিবারের জ্যেষ্ঠ পুত্র হিসেবে দায়িত্ব সহকারে ব্যবসার হাল ধরেছিলেন তিনি। ব্যবসার সূত্রেই এলাকার নেতাদের সঙ্গে পরিচিতি বেড়েছিল তাঁর। পরে বাবার আদর্শ মেনেই কংগ্রেসে যোগ। রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে না হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের পরিচিতি, সুনাম তাঁকে অবিলম্বেই দিয়েছিল ভোটের টিকিট। ঘাসফুলের বাড়বাড়ন্তের মাঝে জয়ীও হয়ে যান তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন বায়রন।