Advertisement

Higher Secondary Exam 2025: বাবার মুখাগ্নি সেরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল স্বর্ণাভ, মন্তেশ্বরে চোখে জল আনা ঘটনা

জীবনে চলার পথে যতোই বাধা আসুক, থেমে থাকা যাবে না। এই মন্ত্রে ব্রতী হয়েই বাবার মৃত্যুর পর মুখাগ্নি করেই উচ্চমাধ্যমিকে বসল পরীক্ষার্থী স্বর্ণাভ চট্টোপাধ্যায়।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে স্বর্ণাভ।উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে স্বর্ণাভ।
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • পূর্ব বর্ধমান,
  • 04 Mar 2025,
  • अपडेटेड 10:40 AM IST

জীবনে চলার পথে যতোই বাধা আসুক, থেমে থাকা যাবে না। এই মন্ত্রে ব্রতী হয়েই বাবার মৃত্যুর পর মুখাগ্নি করেই উচ্চমাধ্যমিকে বসল পরীক্ষার্থী স্বর্ণাভ চট্টোপাধ্যায়। বাবার মৃত্যুতে শোক থাকলেও, পড়াশোনার প্রতি অটুট মনোযোগ রেখে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলেছে সে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজের দায়িত্বকে প্রাধান্য দিয়ে, পরীক্ষা দিতে বসে স্বর্ণাভ।

পরীক্ষা শুরুর মাত্র দুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের বাসিন্দা মলয় চট্টোপাধ্যায়র। পরিবারের উপর নেমে আসে শোকের ছায়া। কিন্তু সেই শোককে পাশে রেখে, বাবার স্বপ্নপূরণ করতে দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে মলয়বাবুর ছেলে স্বর্ণাভ। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সে। বাবার মৃত্যুর পর এমন কঠিন সময়ে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, পরীক্ষার হলে বসে নিজের কর্তব্য পালন করেছে।

মন্তেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা স্বর্ণাভ চট্টোপাধ্যায় মন্তেশ্বর সাগর বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তাঁর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল মালডাঙা আর এম ইনস্টিটিউশনে। বাবার মুখাগ্নি করার পরপরই পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ফিরে আসে স্বর্ণাভ। বাবার ইচ্ছা ছিলো, সে ভালো রেজাল্ট করে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি পায়। সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নিতে পিছপা হয়নি সে। পরীক্ষার হলে স্বর্ণাভের চোখে জল থাকলেও, মন ছিল দৃঢ়।

পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে স্বর্ণাভ জানায়, ‘দুঃখ তো আছেই, কিন্তু বাবার ইচ্ছা ছিল আমি উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করি। সেই কারণেই আমি পরীক্ষা দিতে এসেছি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। বাবা সবসময় চাইতেন আমি জীবনে সফল হই। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতেই আমি আজ এই পরীক্ষার হলে বসেছি।’

এই ঘটনা শুধু স্বর্ণাভের মানসিক শক্তির পরিচয়ই দেয় না, বরং জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকা যায়, সেটারও উদাহরণ। শোকের ভার সঙ্গী করেও, স্বর্ণাভ যেভাবে দায়িত্ববোধ দেখিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাবা মলয় চট্টোপাধ্যায়র স্বপ্নপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ স্বর্ণাভ, নিজের সাফল্যের মাধ্যমেই বাবার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।

Advertisement

সংবাদদাতাঃ সুজাতা মেহেরা

Read more!
Advertisement
Advertisement