বাংলা জুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো-দীপাবলির পর এবার দোরগোড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2021)। আর জগদ্ধাত্রী পুজো মানে প্রথমেই যে জায়গা দুটির নাম মনে পড়ে যায় তা হল কৃষ্ণনগর ও চন্দননগর। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে গতবছর এই দুই জায়গার পুজো আয়োজনেই প্রভূত বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল প্রশাসন। দেখে নেওয়া যাক এবারের পুজোয় কী কী ব্যবস্থ নিচ্ছে কৃষ্ণনগর ও চন্দননগর।
কৃষ্ণনগর
নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরেই (Krishnanagar) জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা। শুধু জমজমাট পুজোই নয়, এখানকার বিসর্জনও দেখার মতো। তবে এবারেও বিগত বছরের মতো সংযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি প্রশাসনের। একইসঙ্গে কোভিড বিধি মেনে চলার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে প্রশাসনিক বৈঠকও হয় শান্তিপুরেও। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর সূত্রাগড় অঞ্চলের শতাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্যরা। প্রশাসনিক বৈঠকে রানাঘাট পুলিশ জেলার আধিকারিকরা জানিয়েদেন পুজো কমিটিগুলিকে গত বছরের মতোই করোনার বিধিনিষেধ মেনে মায়ের আরাধনার ব্যবস্থা করতে হবে।পুজো মণ্ডপগুলোতে ব্যবস্থা রাখতে হবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের। করা যাবে না জমায়েত। পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে করা হয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় অতিরিক্ত বাদ্যযন্ত্রে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অল্পসংখ্যক লোক নিয়ে করতে হবে নিরঞ্জন।
চন্দননগর
এবার আসা যাক চন্দননগরের (Chandannagar) কথায়। চন্দননগরে শুধু পুজো নয়, জনপ্রিয় লাইটিংও। এই বিষয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানান, এলাকার মোট ১৩২ জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিকে পুজোর অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া ভদ্রেশ্বর এলাকার ৬৩ জগদ্ধাত্রী কমিটিকেও অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। পুজো উপলক্ষে চন্দননগর শহরে এসপি এবং অ্যাডিশনাল এসপি পদমর্যাদার ৮, ডিএসপি পদমর্যাদা ১৩, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ২৬, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ১৫০ এবং ৪৫০ কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। তাছাড়াও থাকছেন ২৫০ মহিলা কনস্টেবল। পঞ্চাশটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নজরদারি চালাবে সিসিটিভি। পাশাপাশি চন্দননগর-ভদ্রেশ্বর শহরে ঢোকার মুখে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকছে পুলিশের নাকা চেকিং। এছাড়াও থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা ও বায়ো-টয়লেট। একইসঙ্গে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে পুজো গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়।