৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয় দিনই উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। বহু মানুষ মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে দিঘা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এদিকে, চালানোর কথা ঘোষণা করেও দিঘাগামী লোকাল ট্রেন বাতিল করল দক্ষিণ পূর্ব রেল। রবিবার রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া থেকে দিঘা ও পাঁশকুড়া থেকে দিঘা যাওয়ার লোকাল ট্রেন চালানো হবে না ৪ মে পর্যন্ত। পর্যাপ্ত রেলের অভাবের কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
হাওড়া থেকে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ট্রেন দিঘা যায়। রয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেনও। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রচুর ভিড় হতে পারে দিঘায়। সেই কারণেই স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ পূর্ব রেল। তাদের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৬ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত দিঘাগামী এই বিশেষ ট্রেনগুলি চলবে। প্রত্যেকদিনই নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়বে এবং গন্তব্যে পৌঁছবে। যদিও এখন এই দুটি ট্রেনই বাতিল থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে চলছে ব্যাপক যজ্ঞ, আচার ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। শুক্রবার অস্থায়ী আটচালা ঘরে ১২ লিটার দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ও সুদর্শন দেবতাকে। পাশাপাশি মন্দিরের বিমলা, লক্ষ্মী, সত্যভামা-সহ সমস্ত দেবদেবীরও স্নান সম্পন্ন হয়। সকাল থেকেই শুরু হয় হোমযজ্ঞ।
পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈতাপতির নেতৃত্বে চারদিকে চারটি হোমকুণ্ড এবং মাঝে এক মহাকুণ্ডে জ্বলে উঠেছে পবিত্র হোমাগ্নি। গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ২৫ জন মহিলা কলস নিয়ে গর্ভগৃহ প্রদক্ষিণ করেন। মহাযজ্ঞের দিন ধার্য হয়েছে ২৯ এপ্রিল এবং তার আগ পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে হোমযজ্ঞ। ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হবে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন এবং জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার প্রাণপ্রতিষ্ঠা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ২৮ এপ্রিল দিঘায় পৌঁছতে পারেন। তার আগে থেকেই দিঘা শহরকে সুদৃশ্য আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি নিজে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা হয়েছে আঁটসাঁট। সব মিলিয়ে দিঘায় মেগা ইভেন্ট সফল হওয়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।