ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় এবার প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব পাঠাবে জমিয়েত-ই-উলামা হিন্দ। বাংলার ১ কোটি মানুষের স্বাক্ষর-সহ ওই প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে এই প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। ওই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছেন যে, মুসলিম সমাজকে টার্গেট করছে আরএসএস ও বিজেপি। কলকাতার রামলীলা ময়দানে সংগঠনের কয়েকশো কর্মী জড়ো হন।
সিদ্দিকুল্লা বলেছেন যে, তাঁরা ভাগ্যবান যে, তাঁরা বাংলায় রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে থাকলে এতক্ষণে বুলডোজার দিয়ে সরানো হত। তিনি বলেছেন, আমরা জেলে যেতে তৈরি আছি। শীঘ্রই জেল ভরো আন্দোলন করা হবে।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা হয় আন্দোলনকারীদের। বাকযুদ্ধ গড়ায় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে। পরিস্থিতি দ্রুত অশান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপরেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে বলেন, 'সিপিএম-এর জমানাতেও কিন্তু পুলিশ আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করেনি। কিন্তু এখন কেন, কী পরিস্থিতিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল তা আমার জানা নেই। যাঁরা করছেন, তাঁদের বলব শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে। এটা আরএসএস-এর এজেন্ডা...।'
সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয় সংশোধিত ওয়াকফ বিল। তারপরে সেই বিলে রাষ্ট্রপতি সই করায় তা আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইনের বিরোধিতায় সরব অনেকে।