Advertisement

Jiban Krishna Saha: নর্দমায় মোবাইল ফেলেই পুকুরে ঝাঁপ, ED দেখে যা করলেন MLA জীবনকৃষ্ণ

জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে টানটান নাটক। ফের একবার মোবাইল ছুড়ে ফেলে দিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, এবার ED অফিসারদের দেখে ছুটে পালানোর চেষ্টাও করলেন তিনি। ঠিক কী ঘটল সোমবার?

জীবনকৃষ্ণ সাহা জীবনকৃষ্ণ সাহা
Aajtak Bangla
  • বড়ঞা,
  • 25 Aug 2025,
  • अपडेटेड 10:26 AM IST
  • জীবনকৃষ্ণ সাহা ED-কে দেখে ছুটে পালালেন
  • মোবাইল ছুড়ে ফেললেন নর্দমায়
  • তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে নাটকীয় মুহূর্ত

CBI-এর পর এবার ED তল্লাশিতেও টানটান নাটক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। ফের একবার ছুড়ে ফেললেন মোবাইল ফোন। এখানেই অবশ্য নাটকের ইতি হয়নি। ধরা পড়ার ভয়ে ED অফিসারদের দেখে ছুটে পালানোর চেষ্টাও করেন এই তৃণমূল বিধায়ক। জানা গিয়েছে, বাড়ির ২ তলা থেকে দেওয়াল টপকে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন। 

সোমবার SSC-র নবম ও দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED টিম তল্লাশি চালায় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। এর আগেও তিনি CBI তল্লাশির সময়ে মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। আর এবার ED অফিসারদের দেখে লানোর সময়ে বাড়ির পিছনের ঝোপে ফেলে দেন মোবাইলটি। পরে একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটি। পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩ জওয়ান ধরে ফেলেন তাঁকে। নিয়ে আসেন বাড়ির ভিতরে। 

আপাতত মুর্শিদাবাদের আন্দিতে তাঁর বাসভবনেই ED আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। 

জীবনকৃষ্ণ সাহা ছাড়াও মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে মোট ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও ED টিম পৌঁছে গিয়েছে। সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এই মায়া সাহা।

এর আগেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব করেছিল ED। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তেই তৃণমূল বিধায়ককে তলব করা হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল CBI। এই দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছিল। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে বাড়ির পিছনদিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা। 

তবে সে সময়ে টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। এরপরই গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রায় এক বছর জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। ১৩ মাস পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement