ফের শিরোনামে উঠে এল জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ড। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Jnaneswari Express Accident) মামলায় ১১ জনকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেহভাজন মাওবাদী হিসেবে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআই-কে (CBI) ভর্ৎসনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ১৪ বছর আগের ঘটনা কেন এখনও শেষ হয়নি, কেন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা যায়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে এভাবে অভিযুক্তদের বছরের পর বছর আটকে রাখা যায় না বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।
এদিন মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদি ও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, 'ভুলে যাবেন না অভিযুক্তদেরও মৌলিক অধিকার রয়েছে। বিনা বিচারে ওইভাবে তাঁদের আটকে রাখা যায় না। ১০ বছরের বেশি তাঁরা জেল খাটছেন'। এরপরেই ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজনের জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত। তারপর এদিন আরও ১১ জনকে জামিন দেওয়া হল। এদিন যাঁদের জামিন দেওয়া হল, তাঁরা হলেন, ভোলানাথ মাহাতো, রাম মুদি, অমিয় মাহাতো, মহন্ত মাহাতো, সুনীল মাহাতো, মনোজ মাহাতো, লক্ষ্মীকান্ত রায়, জয়দেব মাহাতো, মানিক মাহাতো, জলধর মাহাতো ও খগেন মাহাতো।
২০১০ সালের ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ওই দিন হাওড়া-কুরলা লোকমান্য তিলক জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। সেইসময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত ট্রেনটিতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রেনের কামরাগুলি। লাগাতার বেশ কয়েকদিন ধরে চলে উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মোট ১৪১ জন যাত্রীর। দুর্ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। তদন্তভার দেওয়া হয় নেয় সিবিআই-কে। তারপর থেকেই ঘটনার তদন্ত করে আসছে এই সংস্থা।
আরও পড়ুন - ৩ তারিখ থেকে আরও বাড়বে গরম, কত ডিগ্রি? পূর্বাভাস