স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনস্থল থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে ত্রিপল, তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাখা, খাট। সকালে ডেকরেটররা প্রতিবাদস্থলের অস্থায়ী তাঁবু, খাট খুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। গতকাল রাত থেকেই ত্রিপল খুলে নেওয়ার কাজ হচ্ছিল। আজ সকালেও পুলিশের উপস্থিতিতে ডেকরেটর আনিয়ে মঞ্চ খোলা হয়েছে। কিছু ডেকরেটররা স্বীকার করেন, স্থানীয় কোনও চাপেই ত্রিপল খোলার কাজ করা হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের সূত্রে খবর।
তবে তাতে এই আন্দোলন রোখা যাবে না বলেই জানান আন্দোলনকারীরা। ঠিক কী কারণে এগুলি খুলে নেওয়া হল তা এখনও জানা যায়নি। ডেকরেটরদের ওপর কেউ চাপ সৃষ্টি করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেছেন, "গতকাল রাত ১টা-দেড়টার মধ্যে একদল ডেকরেটরের লোকেরা এসে প্যান্ডেল খুলতে শুরু করেন। তখন কয়েকজন জিজ্ঞেস করেছিলেন কার আদেশে প্য়ান্ডেল খুলছেন? তাঁরা জানান এক বেসরকারি হাসপাতালের তরফে স্পনসর ছিল। তাই তারা খুলতে এসেছেন।"
তবে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ যেমন চলছিল, তেমনই চলছে। আন্দোলন ওঠেনি। আন্দোলনকারীরা এও জানান, "দয়া করে কোনও বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য ছড়াবেন না।"
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, পুলিশের উপস্থিতিতে প্যান্ডেল খোলার কাজ হয়েছে। তবে পুলিশ জানায় 'এটি গুজব'। তাদের তরফে প্যান্ডেল খোলার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকেরা যাতে আন্দোলন সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যেতে পারে সেই সাহায্য করা হচ্ছে। এক জুনিয়র চিকিৎসকও জানান, "পুলিশ এখনও সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তাঁদের তরফ থেকে কোনও চাপ আসেনি।"
আজ ৪০-তম দিনে পড়ল জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন। বুধবার নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা চলে। তবে বৈঠক শেষে হাতে পাননি মিনিটস। শুধু তাই নয় ছাত্রদের নির্বাচন, রোগী রেফারাল সহ একগুচ্ছ দাবিতে শুধু মিলেছে মৌখিক প্রতিশ্রুতি। যে কারণে হতাশ হয়েই স্বাস্থ্যভবনে ফিরতে হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের।
মিনিটসে সই করা নিয়ে জট কাটেনি। এখনও রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে রফা মেলেনি। কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁদের সব দাবিগুলিকে ফের খসড়া আকারে বৃহস্পতিবার ইমেল মারফত পাঠাতে বলা হয়েছে।