Junior Doctors Answer to CM Mamata Banerjee: লাইভ সম্প্রচার না হওয়ায় হল না জুনিয়র চিকিৎসক-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চেয়ার ছাড়তে রাজি' মন্তব্যে চিকিৎসকরা দাবি করে বলেন, "আমাদের কোনও স্বার্থ জড়িয়ে নেই, মুখ্যমন্ত্রী বলেন দরকার হলে আমার চেয়ার দিতে পারি। কিন্তু আমরা চেয়ারের দাবিতে আসিনি। আমরা হতাশ!"
লাইভ স্ট্রিম নিয়ে তাঁরা বলেন, "সুপ্রিম কোর্টে যদি সাবজুডিস ম্যাটার লাইভ স্ট্রিম হতে পারে, তবে এটা কেন নয়। আমরা কোনও কন্সপিরেসি নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি। ওনারা যদি ভেবে থাকেন আমরা সাবজুডিস বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, তাহলে ভুল ভেবেছেন।"
মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষা করানোর মন্তব্যে চিকিৎসক প্রতিনিধি বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তিনদিন অপেক্ষা করেছিলেন বলেন, আগের মেলে কিন্তু লেখা ছিল না যে তিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।" তাঁরা আরও বলেন, "আমরা যে বাইরে থেকে চালিত হচ্ছি এটা ভিত্তিহীন কথাবার্তা। মুখ্যমন্ত্রী সম্মান দিয়ে বলেছেন, আমরা বাচ্চা বাচ্চা ছোট ছেলেমেয়ে। আমরা বাচ্চা নই, ওনার হয়তো বয়স হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার।"
তাঁদের আরও দাবি, "আমরাও খোলা মনে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা এসেছিলাম ন্যায়বিচারের দাবিতে। যাতে আলোচনা হয়। আমরা হতাশ হয়েছি। মানসিক ও শারীরিক ভাবে পুরো পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যস্ত। আমরা মনে করেছিলাম আলোচনা দরকার। তবে প্রশাসনিক জটিলতার জন্য হল না। আমাদের পাঁচ দফা দাবি বাংলার প্রতিটি মানুষ জানতে চায়। ন্যায়বিচারের দাবির সঙ্গে যে মানুষগুলি জড়িয়ে, তাদের পদত্য়াগের কোনও সংযোগ নেই? অবশ্যই আছে। এই মানুষগুলো থাকলে অবশ্যই বিচারে সমস্যা হবে। তাই আমরা অপেক্ষায় আছি, অপেক্ষায় থাকব। ৩৪ দিন রাজপথে পড়ে আছি, দরকার হলে ৩৫, ২৭ দিন থাকব।"
বাইরে থেকে ফোন কল প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, "এখানে আসার আগেও বলেছি স্বচ্ছতা মেনে চলছি। ওনার এই মন্তব্য হতাশাজনক। আমরা আমাদের অবস্থান মঞ্চে ফেরৎ যাব। আজ যদি এই দরজা বন্ধ হয়ে যায়, আশা করব একদিন আবার খুলবে।"
এদিন নবান্নে থেকে তাঁরা ফের স্বাস্থ্যভবনে ফেরত যাচ্ছেন। আজও স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে থাকবেন চিকিৎসকেরা।