Advertisement

Mamata Banerjee: 'ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা সন্ত্রাসীরা?' 'Kesari 2' নিয়ে বলিউডকে টার্গেট মমতার

সোমবার, ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাশাপাশি ক্ষুদিরাম প্রসঙ্গেই তুললেন ভাষা ইস্যু। এক্স (X) পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে।

শহিদ ক্ষুদিরামকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার।শহিদ ক্ষুদিরামকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Aug 2025,
  • अपडेटेड 5:26 PM IST
  • সোমবার, ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • পাশাপাশি ক্ষুদিরাম প্রসঙ্গেই তুললেন ভাষা ইস্যু।
  • এক্স (X) পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে।

সোমবার, ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাশাপাশি ক্ষুদিরাম প্রসঙ্গেই তুললেন ভাষা ইস্যু। এক্স (X) পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে কেন? পথিকৃৎ অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা-সন্ত্রাসীরা?' মমতার অভিযোগ, মেদিনীপুরের শহিদ বিপ্লবীকে সিনেমাতে পঞ্জাবের বাসিন্দা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাঁর কথায়, 'আমরা সবসময় দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের প্রতীক এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।' ক্ষুদিরামের পরিচয়ের বিকৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি এও মনে করিয়ে দেন যে, ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্মৃতি বিজড়িত মহাবনী ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নে তাঁর সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। মহাবনী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি  গঠন করা হয়েছে। শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, সংস্কার হয়েছে পাঠাগার, তৈরি হয়েছে অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স রুম ও মঞ্চ। তিনি জানান, শুধু মেদিনীপুর নয়, কলকাতাতেও শহিদ ক্ষুদিরামের নামে একটি মেট্রো স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। 

বিতর্কের সূত্রপাত, অক্ষয় কুমার অভিনীত কেসারি চ্যাপ্টার ২ সিনেমায় ক্ষুদিরাম বসুকে ‘ক্ষুদিরাম সিং’ বলাকে কেন্দ্র করে। গত জুনেই ছবির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বাংলার বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতির যে কোনও চেষ্টা রাজ্য মানবে না। তাঁর মতে, এটি শুধু একজন বিপ্লবীর প্রতি অসম্মান নয়, বাংলার ভাষা ও ইতিহাসের উপর সরাসরি আঘাত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্টের রিপ্লাইতে অনেকেই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ক্ষুদিরাম বসু কেবল মেদিনীপুর বা বাংলার নয়, সমগ্র ভারতের গর্ব। তাই তাঁর নাম, পরিচয় ও অবদান নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়ানো কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।

Read more!
Advertisement
Advertisement