বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি চলছে। সরকার বিরোধী হিংসা চরমে পৌঁছেছে। দেশে কার্ফু জারি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নেমে আসে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে। বিক্ষোভকারীদের এবং সরকার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী-সহ তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার পর, তাদের সমর্থকরা সরকার বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হয়েছে।
বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছলে বিক্ষোভকারীরা সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে ঢুকে যায়। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙারও চেষ্টা করে। জামায়াতে ইসলামী ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্ট জামায়াতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াতে ইসলামী হিন্দুদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে। বর্তমান পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হিংসার এই পর্যায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।