আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার নতুন সিপি মনোজ ভার্মার নিয়োগের পর এই প্রথম বড় পদক্ষেপ। অভিজিৎ মণ্ডল বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অভিজিৎ মণ্ডলকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিষেবা বিধি অনুযায়ী সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আওতায় কোনও সরকারি কর্মকর্তাকে কোনও আইনে ৪৮ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। অভিজিৎ মণ্ডলকে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেছিলেন, তাদের আধিকারিকেরা এখনও চিকিৎসক ধর্ষণ বা হত্যার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের সরাসরি জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাননি। যেদিন চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয় সেদিন দু'জনেই একে অপরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছিল। দু'জনের কল ডিটেইলস থেকে সিবিআই জানতে পেরেছে নির্দিষ্ট নম্বরে অনেক কল করেছিলেন তারা।
এর পরে, আদালত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের সিবিআই রিমান্ডের মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সিবিআই জানায়, টালা থানার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলকে প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করতে দেরি এবং অন্যান্য অভিযোগের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ায় তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী আদালতে জানান,তাঁর বিরুদ্ধে ধারাগুলি জামিনযোগ্য। ঘটনাস্থলে দেরিতে এফআইআর দায়েরের মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে, তবে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। নোটিশ দেওয়ার পর যখনই সিবিআই তাঁকে ডেকেছে, তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েও আবার হাজির হন তিনি।