চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে। স্বপ্ন সফল হয়েছে ভারতের। ল্যান্ডার মডিউলের ভিতরে থাকা রোভার(গাড়ি) এবার চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে চলাফেরা করবে। বৈজ্ঞানিক তথ্যাদি প্রেরণ করবে। এই রোভারের সঙ্গেই জড়িয়ে বাংলার কৃষাণু।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের এক প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, ইঞ্জিনিয়ারদের টিমের হাতে রয়েছে এই রোভারের দায়িত্ব। আর সেই টিমেই রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কৃষাণু নন্দী। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার ডান্না গ্রামে বাড়ি তাঁর। অতি সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। সেখান থেকেই পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার হন। তারপর ধাপে ধাপে ইসরো। আজ এক ঐতিহাসিক প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি।
পাত্রসায়রের বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিক। তারপর ছাতনার কমলপুর নেতাজি উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন কৃষাণু। কলকাতার আরসিসি ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে বিটেক করেন। এরপর এমটেক করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ইসরো-তে চাকরি পান কৃষাণু। বরাবরই বিজ্ঞান, গবেষণা, মহাকাশ অভিযান নিয়ে আগ্রহী তিনি। এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষাণুর বাবা তারাপদ নন্দী। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় ছিলেন তিনি। এর আগে চন্দ্রযান-২-এর সময়ে যদিও সেই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার সুযোগ মেলেনি। তবে চন্দ্রযান-৩-এ সেই সুবর্ণ সুযোগ মেলে। চন্দ্রযান ও ছেলের সাফল্যে গর্বিত কৃষাণুর পরিবার-পরিজন।
বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। চাঁদে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। অবতরণের সময়ের ছবি পাঠিয়েছে বিক্রম। ল্যান্ডার এবং MOX-ISTRAC, বেঙ্গালুরুর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ইসরোর পোস্ট করা ছবিগুলি ল্যান্ডারের বিশেষ ক্যামেরা থেকে নেওয়া হয়েছে।
ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যারা চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করেছে। চন্দ্রযানের ল্যান্ডার সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পর ISRO সেই বিষয়ে টুইট করেছে। ISRO জানিয়েছে, 'ভারত, আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছেছি, আপনিও। চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করেছে। অভিনন্দন ইন্ডিয়া।'