Advertisement

Malda Migrant Worker: 'জয় শ্রী রাম... টাকাও চায় দিল্লি পুলিশ', ফিরহাদ-কুণালের পাশে বসে দাবি মালদার সেই মহিলার

সাংবাদিক সম্মেলনে সটান মালদা চাঁচলের পরিবারকে হাজির করায় তৃণমূল। দু'দিন আগে এক্স হ্যান্ডেলে এই পরিযায়ী পরিবারের ওপর অত্যাচারের ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পরিবারের সদস্যা সাজনু পারভিন দিল্লি পুলিশের নামে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, মালদার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাবি করে।

চাঁচলের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ-ফিরহাদ হাকিমচাঁচলের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ-ফিরহাদ হাকিম
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 30 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:07 PM IST

সাংবাদিক সম্মেলনে সটান মালদা চাঁচলের পরিবারকে হাজির করায় তৃণমূল। দু'দিন আগে এক্স হ্যান্ডেলে এই পরিযায়ী পরিবারের ওপর অত্যাচারের ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পরিবারের সদস্যা সাজনু পারভিন দিল্লি পুলিশের নামে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, মালদার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাবি করে। শুধু তাই নয়, জোর করে 'জয় শ্রী রাম' বলতে বলে। সাজনু নাকচ করে দিলে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে। এই ঘটনায় মোদী-শাহকে তীব্র আক্রমণ শানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যসভা সাংসদ মৌসম নূরও বৈঠকে ছিলেন।

তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশি?: দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন সাজনুর
দিল্লিতে তাঁদের ওপর কীভাবে অত্যাচার হয়? সেই ঘটনার বর্ণনা দেন সাজনু। বলেন, "আমার কাছে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়। এরপর জিজ্ঞেস করে স্বামী কোথায়? আমি বলি, বর কাজে গেছে, দোকানে কাজ করে। এরপর দিল্লি পুলিশ বলে, তোমরা বাংলাদেশি, পালাবে না এখান থেকে। আমরা বলি, মালদায় থাকি কীকরে বাংলাদেশি হই? পশ্চিমবঙ্গ মানেই তো বাংলাদেশি। ওরা বলে বাংলা ভাষা বলো, তার মানেই বাংলাদেশি। আমি বলি তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশি? তাঁরা বলেন, এসব পরে দেখা যাবে। এরপর আধার কার্ড নিয়ে চলে যায়।"

জয় শ্রী রাম বলতে বলে: সাজনু
সাজনু বলেন, "এরপর দিল্লি পুলিশ আমাকে মঙ্গলম হাসপাতালে শুনশান জায়গায় নিয়ে যায়। ওখানে নিয়ে গিয়ে বলে, তোমার স্বামীকে ডাকো, ফোন করো। আমি বলি, আমার কাছে ফোন নেই। এরপর দু'বার থাপ্পড় মারে। পুলিশ দাবি করে, তারা সিআইডি। আমি বলি আমাদের থানায় না গিয়ে এখানে কেন নিয়ে এসেছিন। এরপর তাঁরা বলেন, জয় শ্রী রাম বললে তবে ছাড়ব। আমি বলি, আমি মুসলিম হয়ে জয় শ্রী রাম কীকরে বলব? এরপর টাকা চায়। এরপর আমার পেটে লাথি মারে। এরপর আমার স্বামীকে ফোন করে। আমার স্বামী শাশুড়িকে ফোন করেন। তারপর টাকা নিয়ে ওখান থেকে পালায়। যখন ঘরে গিয়েছিল আমার বাচ্চাকে মারধর করেছিল। এখনও বাচ্চার কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাকে অনেক কাগজে সই করিয়েছিল। মধুবিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।"

Advertisement

চাঁচলের পরিবারের এই অভিযোগকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেন বিরোধীরা। এর উত্তরে সাজনুর শ্বশুর দাবি করেন, কোনও নাটক নয়। আমাদের পরিবারে কেউ রাজনীতি করে না। বাপি খান আমাদের আত্মীয়। বিরোধীদের দাবি, এই বাপি খানের কথাতেই চাঁচলের পরিবার দিল্লি পুলিশের নামে এই অভিযোগ আনে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিথ্যে প্রমাণ করতে এই চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ। বলেন, "দিল্লি পুলিশ বারবার অন্যায়ের পর ধামাচাপা দিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিথ্যে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল। এই পরিবারকে মালদা পৌঁছে দেব। আর যে যে পরিযায়ী শ্রমিক আছে, তারা ফিরে আসুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন কার্ড করে দেবে। বিজেপি কত বড় মিথ্যেবাদী দল। আমার বোন যা বলল সেটা একটা ঘটনা, এরকম আরও আছে। বাংলার সম্মানের জন্য আমাদের যতদূর যেতে হয় যাব। সংখ্যালঘু শুধু নয় রাজবংশী, মতুয়াদের ওপরেও অত্যাচার হচ্ছে। বিজেপি বাচ্চাকেও ছাড়ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছেন, আমাদের কাছে একটা রুটি থাকলেও অর্ধেক করে খাব।"

এই ঘটনায় এফাআইআর করা হবে কিনা প্রশ্নে ফিরহাদ বলেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় আইনজীবীরা। আরও বলেন, যা যা করণীয় সব করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ যারা ফিরে আসবে তাদের সব বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। মৌসম নূর বলেন, চাঁচলের পরিবারকে কিচ্ছু শিখিয়ে দেওয়া হয়নি। তাঁদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা নিজেরাই বলেন।

Read more!
Advertisement
Advertisement