কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। রায় অনুযায়ী, লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরা, লেডিস স্পেশালে পুরুষ যাত্রীরা ওঠার চেষ্টা করলেই কড়া জরিমানার মুখে পড়তে হবে। এই নির্দেশের ফলে মহিলাদের যাত্রা আরও সুরক্ষিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মহিলা কামরায় পুরুষ যাত্রীদের অনুপ্রবেশ ও দুর্ব্যবহার সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন পিয়েতা ভট্টাচার্য নামে এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ ছিল, রেলের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।
রেল কর্তৃপক্ষ আদালতে পাল্টা দাবি করে যে, সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত ছিল। মামলাকারী সঠিক জায়গায় অভিযোগ জানাননি বলেই সমস্যার সমাধান হয়নি। রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, তারা নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত শিয়ালদহ ডিভিশনে ২৮৭৭ জন পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই পরিসংখ্যান শুনে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ চমকে ওঠেন। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মাত্র ৬ মাসের মধ্যে এত বেশি সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে যা স্পষ্টতই ইঙ্গিত দেয় যে, এই ধরনের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। যা বন্ধ হওয়া জরুরি।
আদালত রেল কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। বেঞ্চের নির্দেশ, যারা আইন ভেঙে মহিলা কামরায় উঠবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি স্টেশনে নিয়মিত এ বিষয়ে ঘোষণা করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, পুরুষ যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, লেডিস স্পেশাল ট্রেনগুলি প্রায়শই খালি যায়। অন্যদিকে, অনেকক্ষণ পর পর ট্রেন পাওয়া যায় বলে তারা আরপিএফকে জানিয়ে লেডিস স্পেশালে ওঠেন। তাদের যুক্তি, পুরুষ যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে লেডিস স্পেশালে ওঠেন।