স্কুলের মধ্যে শিক্ষিকাকে মারধর করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্কুল ঘরে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দিল বাসিন্দারা। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ (Bangaon) থানা এলাকার উত্তর কালুপুর (North Kalupur Anand Sangha Primary School) আনন্দ সংঘ প্রাইমারি স্কুলে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম অক্ষয় কুমার বিশ্বাস। অভিযোগ ইতিকা বালা বাইন নামে স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে মারধর করেন। অপমানে ওই শিক্ষিকা ক্লাস রুমের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে। যদিও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদসস্যা এবং অন্যান্যদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এই পেয়ে স্কুলে ছুটে আসেন শিক্ষিকার স্বামী শ্রীবাস বাইন। তার অভিযোগ "প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন উত্তপ্ত করে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম। তারপরেও প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। আজ আমার স্ত্রীকে স্কুলের মধ্যে উত্ত্যক্ত কর হয় এবং ওই শিক্ষক মারধর করে।"
এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লতিকা মন্ডল জানান "ঘটনাস্থলে এসে দেখি ওই দুই শিক্ষক শিক্ষিকা মারামারি করতে। আমি তাদের বলি যে এটা একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমাদের সন্তানরা এই স্কুলে পড়াশোনা করে আমাদের মান সম্মান আছে আপনার প্রত্যেকদিন এসে এইরকম ধরনের কর্মকাণ্ড করবেন এ সমস্ত ঠিক নয়। সোমবার বৈঠক হবে, ততদিন পর্যন্ত স্কুলে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।" অপমানিত হয়ে ওই মহিলা শিক্ষিকা আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন লতিকা মন্ডল। তখন তিনিই সবাইকে ডেকে ওই শিক্ষিকাকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান কালুপুর আনন্দ সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। ওই শিক্ষিকা প্রায় ১০ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর বছর তিনেক হলো অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলে যোগদান করেছেন৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক এবং ওই শিক্ষিকা মাঝেমধ্যেই স্কুলের মধ্যে মারামারি করে৷ তাদের উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে । আজও মারামারি করছিল। আমরা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দিই।
মিঠু নন্দী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান আমরা চাই আমাদের স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো থাকুক। এটা ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওটা বাইরে রাখাই ভালো।" তিনি আরও জানান "এই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হয়।"
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রধান শিক্ষক অক্ষয় কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন "আমার সাথে ঐ শিক্ষকের এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।" এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।