Advertisement

Lagnajita Incident: 'মেহবুব আমাদের লোক নয়,' লগ্নজিতার গান থামানো বিতর্কে সাফাই TMC র

Lagnajita Chakraborty Controversy: মেহবুব মল্লিকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। সাফ জানাল শাসকদল। রবিবার এমনটাই জানাল ভগবানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবিন মণ্ডল।

যা জানালেন ভগবানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবিন মণ্ডল।যা জানালেন ভগবানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবিন মণ্ডল।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Dec 2025,
  • अपडेटेड 12:23 AM IST
  • TMC নেতার শাসানিতে থামল লগ্নজিতার গান।
  • পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বাংলার সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা।
  • অভিযোগ, ‘জাগো মা’ গান গাওয়ার 'অপরাধে' মঞ্চেই হেনস্তার শিকার হন শিল্পী। 

Lagnajita Chakraborty Controversy: মেহবুব মল্লিকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। সাফ জানাল শাসকদল। রবিবার এমনটাই জানাল ভগবানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবিন মণ্ডল।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিক কোনওভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা কর্মী নন। তাঁর সঙ্গে দলের সাংগঠনিক কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। শাসকদলের তরফে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানোর চেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভগবানপুরের একটি অনুষ্ঠানে গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী দেবী চৌধুরানী সিনেমার গান ‘জাগো মা’ গাইছিলেন। অভিযোগ, সেই গানকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ নয়’ বলে মঞ্চেই আপত্তি তোলেন মেহবুব মল্লিক ও তাঁর অনুগামীরা। শিল্পীর অভিযোগ, গান বন্ধ করাতে তাঁকে ভয় দেখানো হয়। মঞ্চে উঠে মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান মাঝপথেই বন্ধ করে কলকাতায় ফিরে যান লগ্নজিতা ও তাঁর সহযোগীরা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানায় বিজেপি। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দাবি করে, পুলিশ প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি এবং অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভগবানপুর থানার ওসির ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন দে।

এর মধ্যেই তৃণমূলের তরফে মেহবুবের সঙ্গে দলের সম্পর্ক অস্বীকার করায় রাজনৈতিক বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদল দায় এড়াতে চাইছে। অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, আইন আইনের পথেই চলবে এবং কোনও অপরাধীকেই রেয়াত করা হবে না, সে যে-ই হোক।

সব মিলিয়ে, একটি গান ঘিরে শুরু হওয়া এই বিতর্ক এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, শিল্পীর নিরাপত্তা এবং রাজনীতির ভূমিকা; এই সব প্রশ্নকে সামনে রেখে। ভগবানপুরের ঘটনা যে আগামী দিনে আরও রাজনৈতিক তরজা বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement