লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর অ্যাকাউন্টে টাকা আসার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করছিলেন পুরুলিয়ার পার্বতী রজক। কিন্তু টাকা আর আসেই না। শেষমেশ লক্ষ্মীর ভান্ডারের বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট চেক করেই যা দেখলেন, তাতে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। দেখা গেল টাকা আসছে। কিন্তু তা চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে।
ঘটনাটি পুরুলিয়া ১ ব্লকের ভান্ডার পুয়াড়া গ্রামের। পার্বতী রজকের অভিযোগ, তাঁর আবেদন সফল হলেও একাউন্টে কোনও টাকা আসেনি। পরে তিনি লক্ষীর ভান্ডারের বেনিফিশিয়ারি একাউন্ট চেক করে দেখেন, প্রকল্পের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া সফল হয়েছে, কিন্তু টাকার লেনদেন হয়েছে অন্য একাউন্টে। এই নিয়ে তিনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, দুয়ারে সরকার সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। শেষমেশ তিনি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তদন্ত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পার্বতী রজক ও তাঁর স্বামী।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো।
অন্যদিকে, এই নিয়ে পাল্টা সমালোচনায় নেমেছে বিরোধী শিবির। জেলা বিজেপি সম্পাদকের অভিযোগ, 'প্রকৃত উপভোক্তাদের বঞ্চিত করে তৃণমূল নেতারা এই টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিচ্ছেন'। তিনি দাবি করেন, 'প্রকৃত উপভোক্তারা যাতে প্রকল্পের সুবিধা পান, তার ব্যবস্থা করা উচিত।'
সংবাদদাতা- অনিল গিরি