অভিনেত্রী-বিধায়ককে মোবাইলে অশালীন মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ। তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক বিজেপি কর্মীকে।
অভিনেত্রী তথা সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে মোবাইলে অশালীন মেসেজ ও ফোনে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর নাম সৌমেন ঘোষাল। বর্ধমান জেলার গলসিতে তার বাড়ি বলে জানা গিয়েছে৷
এ বিষয়ে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ বিধায়ক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে শুক্রবার রাতে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিধায়কের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে ফোন করে বিরক্ত করা হচ্ছিল। ফোন নম্বর ব্লক করে দিতেই হোয়াটসঅ্যাপে ফোন ও ম্যাসেজ করে অশালীন ব্যবহার করা হয়। এমনকী তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।
এরপর এই ঘটনায় শুক্রবার তিনি সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে রাতে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ.
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অভিযুক্তের ফোন। কী কারণে সে এই কাজ করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
লাভলি দাবি করেন, আমাকে ফোন করা হয়, মেসেজ করা হয়। আমাকে দেখে নেওয়া হবে। সেটি ব্লক করে দিই। এরপর হোয়াটসঅ্য়াপে মেসেজ করা হয়। দেখে নেওয়া হবে, মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
তাঁর আরও দাবি, অত্যন্ত নোংরা ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। তার স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা মেসেজের শেষ লেখা হয়েছে বিজেপি জিন্দাবাদ। আমি একজন মহিলা বিধায়ক।
তাঁর অভিযোগ, এটা বিজেপির সংস্কৃতি। তারা মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না। একদিন বিজেপি বলত, তৃণমূল হিংসা ছড়াচ্ছে। বাংলার পরিবেশ নষ্ট করছে। এখন বোঝা যাচ্ছে, কে হিংসা ছড়াচ্ছে। কারা বাংলার পরিবেশ নষ্ট করছে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল প্রশাসনের সাহয্য নেওয়া দরকার। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। লোকটির বাড়ি বর্ধমানে। ওই লোকটি গ্রেফতার হয়েছে। প্রশাসন আমাকে সাহায্য করেছে। নোংরা খেলা বন্ধ হওয়া উচিত।
লাভলি আরও বলেন, প্রশাসন নিজের কাজ করেছে। যারা অন্যায় করছে বা করেছে, নিশ্চয়ই তার শাস্তি পাবে। হেরে যাওয়ার পরেও এমন আক্রমণ করতে পারে, সে জায়দা থেকে মনে হয়েছে, প্রশাসনের সাহায্য় নিতে হবে।