আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবে মারধরের ঘটনা নিয়ে সরব হলেন এলাকার বিধায়ক মদন মিত্র। এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে জয়ন্ত সিং নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জয়ন্ত মদনের লোক বলে দাবি। যদিও মদন দাবি করেছেন, জয়ন্ত তাঁর লোক নন। এই ঘটনায় পুলিশ এবং দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন বিধায়ক।
ঠিক কী বলেছেন মদন?
তালতলা ক্লাবে মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে মদন বলেন, 'পুলিশের যা করা উচিত, সেটা করছে না। ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশকে বলেছিলাম। ওখানে দুটো গোষ্ঠী রয়েছে। একটা দলের নেতা জয়ন্ত। আর একটা দলের নেতা রিন্টু। যে অনেক রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠ। পুলিশ বলছে, আমরা কী করব! বিচারক ছেড়ে দিয়েছেন। আমি বললাম, কঠোর ধারা দিয়ে জেলে রাখতে পারলেন না। তালতলা ক্লাবে কী হয়েছে পুলিশ সবটা জানে। ক্লাবটি বন্ধ করেনি। যেটা করার দরকার পুলিশ সেটা করেনি।'
এরপরে মদন আরও বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছি যেহেতু, তাই প্রাণের ভয় রয়েছে। যখনই পুলিশকে বলি, তারা বলে সাংসদকে বলুন। আমি কেন ওঁর সঙ্গে কথা বলব?...' মদনের বক্তব্য, 'পুলিশ ছাড়া একাজ হতে পারে কখনও?'
প্রসঙ্গত, আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবে এক জনকে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রেখে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে জয়ন্ত সিং নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-ও। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিংরা দলবল নিয়ে এক জনকে চ্যাংদোলা করে মারছে। লাঠি দিয়ে মারছে। জয়ন্ত সিং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্র মদন মিত্র-র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও মদন মিত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্য দিকে, এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা ঋজু দত্তের দাবি, ভিডিওটি ২০২১ সালের মার্চ মাসের। অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং ও তাঁর সঙ্গীরা। এদের মধ্যে দুজন ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছে। যাঁকে মারধর করা হচ্ছে, তিনি সম্ভবত ছেলে। বাংলা বিজেপি-কে বর্জন করেছে, তাই স্বাভাবিক ভাবেই ওরা তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করছে ও রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।