'এবার ডাক্তারির পড়া শুরু করব', বাংলা ডট আজতক ডট ইনকে ফোনে বলল বালুরঘাট হাইস্কুলের পড়ুয়া উদয়ন প্রসাদ। মেধাতালিকায় তিন নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। এলাকার লোকজন তাঁকে লেনিন বলে ডাকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাদের বাড়িতে উৎসব। ছেলে মাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফল করেছে। মেধাতালিকায় তিন নম্বরে নাম রয়েছে। বাবা সিপিআইএমের সর্বক্ষণের কর্মী। পার্টি যে ভাতা দেয়, তাতেই চলে সংসার। উদয়ন বলে, 'অনেক কষ্টে সংসার চলে আমাদের।'
ইতিমধ্যেই উদয়ন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। সে জানায়, ফল প্রকাশ হওয়ার পর স্কুলে গিয়েছিল সে। শিক্ষকরা তাকে আশির্বাদ করেছে। প্রাচ্যভারতী পাড়ার বাসিন্দা উদয়নের বেড়ে ওঠা বাম রাজনীতির আবহে। বাবা উমেশ প্রসাদ CPIM -এর সর্বক্ষণের কর্মী। বামপন্থী রাজনীতির পরিভাষায় হোলটাইমার৷। মা বিন্দু প্রসাদ গৃহবধূ। বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়নের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে চায় সে। কিশোর লেনিনের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা বালুরঘাট।
মাধ্যমিকের ফলাফলে এবার বড় ছাপ ফেলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট। প্রথম দশে যে ৫৭ জন আছে, তাদের মধ্যে ছয়জন বালুরঘাটের স্কুলের পড়ুয়া। তাদের মধ্যে চারজন আবার বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র। আর দু'জন বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। সবমিলিয়ে এবার বালুরঘাট থেকে মাধ্যমিকের তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম স্থান দখল করেছে বালুরঘাট।
তৃতীয় হয়েছে বালুরঘাট হাইস্কুলের এক পড়ুয়া। রাজ্যের আরও তিনজন পড়ুয়ার সঙ্গে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে বালুরঘাট হাইস্কুলের এক ছাত্র। অন্যদিকে, রাজ্যে মোট আটজন পড়ুয়া সপ্তম স্থানে আছে। তাদের মধ্যে দু'জনই বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের। একজন আবার বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র। সেইসঙ্গে নবম স্থানেও বালুরঘাট হাইস্কুলের এক ছাত্র আছে।