স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের ফল প্রকাশ হতেই বদলে গেল এ বছরের মাধ্যমিকের মেধাতালিকা। আগে যেখানে ৬৬ জন পড়ুয়ার নাম ছিল, সেখানে নতুন তালিকায় উঠে এল আরও ১৩ জন কৃতী। এখন মোট মেধাতালিকাভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৯। এদের মধ্যে কেউ দ্বিতীয় স্থানেই রয়ে গেল, আবার অনেকেই অষ্টম, নবম বা দশম স্থানে জায়গা করে নিল নতুন করে।
প্রথম স্থানে কোনও পরিবর্তন না হলেও দ্বিতীয় থেকে দশম স্থান পর্যন্ত নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে একাধিক পড়ুয়া। পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, কোচবিহার, বাঁকুড়া সহ রাজ্যের একাধিক জেলার ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের প্রাপ্য স্থান দখল করেছে সংশোধিত নম্বরের ভিত্তিতে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সুপ্রতীক মান্না-র নম্বর বেড়ে হয়েছে ৬৯৪, যা তাকে মেধাতালিকার দ্বিতীয় স্থানে রাখে। আগে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯২।
সৃজন প্রামাণিক (মালদহ, রামকৃষ্ণ মিশন) এবং সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায় (কংসাবতী শিশু বিদ্যালয়) দু’জনেই ৬৮৮ থেকে ৬৮৯ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে।
দেবজিৎ লাহা, অন্তরীপ মাইতি, চয়ন রায়, সাম্যক দাস, রূপম দিক্ষীত – এঁরা প্রত্যেকেই একাদশ, দ্বাদশ কিংবা ত্রয়োদশ স্থান থেকে অষ্টম বা নবম স্থানে উঠে এসেছে সংশোধিত নম্বরের জোরে।
অন্যন্যা মজুমদার (মাথাভাঙা গার্লস হাইস্কুল), প্রেরণা বৈদ্য (সারদা বিদ্যাপীঠ), প্রজ্ঞান দেবনাথ (মালদা রামকৃষ্ণ মিশন), সায়নদীপ ঘোষ (বাঁকুড়া), এবং সোহম করণ (কাঁথি মডেল) – এঁরাও নিজেদের মেধা প্রমাণ করে নবম ও দশম স্থান অধিকার করেছেন।
এই তালিকা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিল, স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ শুধু প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, অনেকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। মেধাতালিকায় যাঁরা আগে জায়গা পাননি, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এই সংশোধনের মাধ্যমে নিজের ন্যায্য স্থান ফিরে পেয়েছেন।
রাজ্যজুড়ে শিক্ষামহলে এই তালিকা ঘিরে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি প্রশ্নও উঠেছে – এতগুলো নাম একবারে বাদ পড়েছিল কীভাবে? সেইসঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের আরও নির্ভুল এবং স্বচ্ছ মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তাও সামনে এসেছে।