আজ, বৃহস্পতিবার নদীয়ায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার শান্তিপুরে জেলার উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন তিনি। এবং স্পষ্ট করে দেন ফের মহুয়াই ফের কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের টিকিট পাবেন। মমতা বলেন, 'মহুয়াকে ওরা তাড়িয়ে দিয়েছে। কেন জানেন, মহুয়া মানুষের কথা বলত। তোমরা জোর করে তাড়িয়ে দিতে পারো। কিন্তু মানুষের ভোটে মহুয়া জিতবে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ এর উত্তর দেবে।' তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যের পরই একপ্রকার স্পষ্টই হয়ে যায় যে, ফের মহুয়াতেই ভরসা রয়েছে তাঁর।
এরপরই তিনি রানাঘাটের বিষয়ে কথা বলেন। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রানাঘাটে আপনারা একজনকে জিতিয়েছিলেন। আমার কিছু বলার নেই। মা বোনেরা ভালো করে জানেন, তিনি কী, আর কী করে বেড়াচ্ছেন। কোনও কাজ-কর্ম নেই। এবার কিন্তু আপনারা রানঘাটেও আমাদের সমর্থন দেবেন।'
লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'ভারতীয় সংসদের জন্য এটা খুব দুঃখের দিন। মহুয়া মানুষের ভোটে নির্বাচিত। বিজেপি তাঁকে ভোটে পরাজিত করতে না পেরে, আত্মপক্ষ সমর্থনের না দিয়ে, ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিল। বারবার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা বলেছেন, রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দিন। তাও দেওয়া হয়নি।'
উল্লেখ্য, ‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ করার অভিযোগে এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পর, লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। তাঁর বিরুদ্ধে শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং দামী উপহার সামগ্রী ঘুষ হিসেবে নিয়ে, সংসদে গৌতম আদানি এবং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করা অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সংসদ নিশিকান্ত দাস। জয় অনন্ত দেহদ্রাই তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির ভিত্তিতেই এই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী তাঁর প্রাক্তন বন্ধু বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
তবে এদিন মমতার মহুয়া সম্পর্কে এই মন্তব্য স্পষ্ট করে দিল, লোকেসভা ভোটে কৃষ্ণনগরে মহুয়ার প্রার্থী হওয়া স্রেফ ঘোষণার অপেক্ষা।