রেজিস্ট্রি না হওয়ায় মালদায় বিয়ের ৯ বছর পর স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত গৃহবধূ। গ্রামের সালিশি সভা ডাকা হলেও উপস্থিত হননি স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অসহায় অবস্থা স্ত্রীয়ের। তাই কোনও ভাবেই মিটমাট না হওয়ায় স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটে মালদার ইংরেজবাজার থানার যদুপুর এলাকায়।
গৃহবধু (২৯) পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ২০১৫ সালে সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে হয় তাঁদের মেয়ের। সামাজিক মতে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় গ্রামের মানুষকে সাক্ষী রেখে। সেই সময় বিয়ের রেজিস্ট্রির প্রয়োজন মনে করেনি গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা। তারপর বিয়ের সাত বছর পার হয়ে গেলেও সন্তান হয়নি। এরপর রীতিমতো প্রতিদিন সন্তানের ওপর অত্যাচার বাড়ছিল। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন গৃহবধূ। কিছুদিন পর শ্বশুর বাড়িতে গেলে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে গ্রামের মানুষকে জানালে সালিশি করে মেটানোর চেষ্টা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
গ্রাম্য সালিশি ডাকা হলেও স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়নি। এরপর স্বামীর অধিকার পাওয়ার জন্য ৯ বছর অপেক্ষা করেছেন কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এই নিয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এবার বাধ্য হয়ে আদলতের দ্বারস্থ হয়েছেন গৃহবধু ও তাঁর পরিবার। যদিও স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।
যদিও ওই গৃহবধূ জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে বহুবার স্বামীর বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেও সমস্যা সমাধান করতে পারেনি পুলিশ। আইনত বিয়ে না হওয়ায় কোনও আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারছেন না তিনি। এমনকি স্বামী বলছেন, তাদের নাকি বিয়ে হয়নি। তাহলে গ্রামের মানুষকে সাক্ষী রেখে বিয়ে হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে জেলা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।