Advertisement

Mamata Bangaon: 'আমার সঙ্গে খেলতে এসো না', হেলিকপ্টার বাতিল নিয়ে বনগাঁ থেকে BJP-কে হুঁশিয়ারি মমতার

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বনগাঁয় পৌঁছানোর কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বুক করা হেলিকপ্টারের উড়ান। সড়কপথেই রওনা দেয় তাঁর কনভয়।

সভাতে হেলিকপ্টার বাতিলকে কেন্দ্র করেই বিরোধীদের বিঁধলেন মমতা।সভাতে হেলিকপ্টার বাতিলকে কেন্দ্র করেই বিরোধীদের বিঁধলেন মমতা।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Nov 2025,
  • अपडेटेड 2:45 PM IST
  • মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বনগাঁয় পৌঁছানোর কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
  • শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বুক করা হেলিকপ্টারের উড়ান।
  • সড়কপথেই রওনা দেয় তাঁর কনভয়।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বনগাঁয় পৌঁছানোর কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বুক করা হেলিকপ্টারের উড়ান। সড়কপথেই রওনা দেয় তাঁর কনভয়। দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হয় সভা। আর সেই সভাতে হেলিকপ্টার বাতিলকে কেন্দ্র করেই বিরোধীদের বিঁধলেন মমতা।

তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই তাঁর হেলিকপ্টার বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'সাত-আট মাস হেলিকপ্টার নিই না। আজ এখানে এসে ঠাকুরনগর যাওয়ার পরিকল্পনা। তাই আগেই বুক করা হয়েছিল। কিন্তু সকাল ১০টায় খবর এল. হেলিকপ্টার যাবে না!'

এরপরেই বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, 'ভোট শুরুর আগেই বাধা দেওয়া শুরু! কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উল্টে ভালই হল। রাস্তায় আসতে আসতে বহু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমার জনসংযোগও হল।'

এরপর চ্যালেঞ্জের সুরে বিজেপিকে বলেন, 'আমার সঙ্গে খেলতে যেও না। আমি যে খেলাটা খেলব, তোমরা পারবে না। এজেন্সি, কোটি কোটি টাকা; কিছু দিয়েই পারবে না।' সেই সঙ্গে তাঁর অতীতের কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন, 'আমি ছাত্র রাজনীতির মানুষ। সিঙ্গুরের জমির জন্য ২৬ দিন অনশন করেছি। আমি যা ধরি, তা শেষ করে ছাড়ি।'

বনগাঁ ও ঠাকুরনগর মানেই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি বারবার মতুয়াদের পাশে থাকার দাবি করেছে। কিন্তু SIR আবহে রীতিমতো দোলাচলে মতুয়া সমাজ। আর সেই সময়েই মতুয়া-ভূমে শক্তি বাড়াতে চাইছেন মমতা।

রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বাতিল-প্রসঙ্গে অভিযোগ তোলা আদতে মতুয়া গড়ে নিজের লড়াকু ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করা। পাশাপাশি, রাস্তায় নেমে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর কথাও তুলে ধরলেন তিনি। নির্বাচনের আগে এই জনসংযোগই শাসকদলের কাছে সবচেয়ে বড় অস্ত্র। মমতার এই জনসংযোগের বার্তা আগামিদিনে যে তৃণমূল কর্মীদের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে দিল, তা ধরে নেওয়াই যায়।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement