নাগরাকাটার পরিস্থিতি যাচাই করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এমপি খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর সেই ঘটনা নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফসল কি না, সেটা বিজেপি-কে যাচাই করতে বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। আপনাদের ইন্টারনাল কিছু নয় তো? কারণ, এই জায়গাটা বিজেপির। এমপি, এমএলএ, সবকিছুই।' অর্থাৎ তিনি সোজাসুজিভাবে এই ঘটনার জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলে দিলেন। তাঁর মতে, বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা সেখানে সারা বছর যান না। এত বড় দুর্যোগের পর তাঁরা সেখানে গিয়েছেন। তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের উপর গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
খগনে মুর্মুর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আমি নিজে তো দেখতে গিয়েছিলাম। ওর কানে সামান্য চোট রয়েছে। ডায়াবেটিসের রোগী। তাই এখন অবজারভেশনে রয়েছে।... আমি ওনার আরোগ্য কামনা করেছি। আমি আমার কর্তব্য করেছি।'
এছাড়া এ দিন সাংবাদিকদের সামনে এসে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিমান ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ
উত্তরবঙ্গে এহেন দুর্যোগের পর হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছিল প্লেনের ভাড়া। তাতে সাধারণ মানুষের বিরাট সমস্যা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এই জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন।
যদিও এই বিষয়ে তাঁর সরকার ভালো কাজ করেছে বলে দাবি করেন মমতা। তিনি বললেন, 'আমরা বাসের অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছি। নিজেরা নিয়ে এসেছি মানুষকে।'
কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে
যুদ্ধকালীন গতিতে উত্তরবঙ্গে কাজ চলছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, 'ল্যান্ড স্লাইডের পর কাজ শুরু হয়েছে। ভেঙে যাওয়া রুটের বদল খোঁজা হয়েছে। মিরিকের ব্রিজ পাকা হচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যে একটা অল্টারনেটিভ ব্রিজ করে দেব।'
ত্রিপুরা নিয়ে কী বললেন?
এ দিন মমতা জানান, ত্রিপুরাতে আমাদের এমপি, মিনিস্টার, এমএলএ, এয়ারপোর্টের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ট্যাক্সিতে যেতে দেয়নি। বাইকেও যেতে দেয়নি। অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করার পর বললাম হেঁটে যাও। এভাবে না যেতে দিলে আমি নিজেই চলে যাব। দেখব কত বড় ক্ষমতা।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, 'ত্রিপুরাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। সেখানে অভিষেকর গাড়িতেও পাথর মেরেছ। তখন তোমরা কী করেছ?... এমপি, জার্নালিস্টের গাড়ি অ্যাটাক করেছ, তখন কোথায় ছিলে?'
অর্থাৎ এ দিন একবারে অ্যাটাকের মোডে চলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিজেপি এর পাল্টা কী দেয়!