Advertisement

Partial Lockdown : দোকান খোলা, নেই ক্রেতা! সময় বদলের আর্জি দার্জিলিঙের ব্যবসায়ীদের

দার্জিলিং (Darjeeling)-এর বিভিন্ন দোকান-বাজার ঘুরে তেমনই ছবি ধরা পড়ল। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান খোলার সময় বদলানো হোক। সেই অনুমতি দেওয়া হোক। যাতে তাঁদের বিক্রিবাটা আরও ভাল হয়।

রাস্তাঘাট ফাঁকা (বাঁদিকে), ক্রেতার আশায় অপেক্ষায় দোকানের মালিক। মঙ্গলবার দার্জিলিঙে। ছবি: কায়েশ আনসারিরাস্তাঘাট ফাঁকা (বাঁদিকে), ক্রেতার আশায় অপেক্ষায় দোকানের মালিক। মঙ্গলবার দার্জিলিঙে। ছবি: কায়েশ আনসারি
কায়েশ আনসারী
  • দার্জিলিং,
  • 01 Jun 2021,
  • अपडेटेड 5:50 PM IST
  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য
  • তবে মঙ্গলবার থেকে বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে
  • তবে এর জেরে দার্জিলিঙের ব্যবসায়ীদের সমস্যা কাটছে না

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আংশিক লকডাউন (Partial Lockdown)-এর পথে হেঁটেছে রাজ্য। তবে মঙ্গলবার থেকে বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুচরো দোকান বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে।

তবে এর জেরে দার্জিলিং (Darjeeling)-এর ব্যবসায়ীদের সমস্যা কাটছে না। তাঁদের অভিযোগ, দোকান খোলা থাকলেও লোকজন হচ্ছে না। যা বিক্রিবাটা হচ্ছে সকালের দিকে। তাই দোকান খোলার সময় বদল করার দাবি জানিয়েছে তারা।

এদিন দার্জিলিং (Darjeeling)-এর বিভিন্ন দোকান-বাজার ঘুরে তেমনই ছবি ধরা পড়ল। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান খোলার সময় বদলানো হোক। সেই অনুমতি দেওয়া হোক। যাতে তাঁদের বিক্রিবাটা আরও ভাল হয়। কারণ নতুন সময়ে বিক্রি নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুন

পাহাড়ের দোকান-বাজারের কেনাকাটা পুরোটাই নির্ভর করে চা-বাগানগুলির ওপর। সেখানকার মানুষজন সকাল-সকাল চলে আসছেন। আর তারপর সকাল ১০টার মধ্যেই ফিরে যাচ্ছেন। ফলে এরপর পুরো শহর হয়ে পড়ছে ফাঁকা।

ক্রেতা নেই বললেই চলে। মঙ্গলবার দার্জিলিঙে। ছবি: কায়েশ আনসারি

এই জন্য দার্জিলিং (Darjeeling)-এর ব্যবসায়ীরা আবেদন করছেন যাতে দোকান খোলার সময়সীমা পরিবর্তন করা হোক। এইটা করা হোক সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সব দোকানই খোলা থাক। এই নিয়ম চালু করা হোক। 

তা হলে তাঁদের ব্যবসা ভাল হবে। সবার সুবিধা হবে। সকালে যখন সবজি বা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে আসবেন, একইসঙ্গে খুচরো দোকান থেকেও জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। 

রাজেশ আগরওয়াল নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, এর আগে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, গয়না এবং শাড়ির দোকান বেলা বারোটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত খোলা থাকবে। কিন্তু আমরা বস্ত্র ব্যবসায়ীরা তখন দোকান খুলিনি। কারণ তখন কোনও ক্রেতা থাকত না।

তিনি আরও জানান, এখন আবার খুলতে আরম্ভ করেছি এই আশাতে যে মানুষ আসবেন। বিক্রি করা হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি আমাদের দোকান থেকে কেনাকাটা হবে।

রাজ্যে চলছে আংশিক লকডাউন (Partial Lockdown)। তার সময়সীমাও ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। এবার তারই মাঝে খুচরো দোকানগুলিকে দৈনিক ৩ ঘণ্টা করে খোলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

সোমবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, আবেদনের ভিত্তিতে এবার থেকে খুচরো দোকানগুলিকে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, একইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকেও ১০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ চালানোর ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, নির্মাণকারী সংস্থাগুলি যদি তাঁদের কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে তারাও কাজ চালিয়ে যেতে পারে বলে জানান মমতা। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব-বিধি এবং পরতে হবে মাস্ক।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement