Advertisement

Mamata Banerjee On Adenovirus : '২টো অ্যাডেনোভাইরাস, ১০টা কেস সম্ভবত কো-মর্বিডিটি,' শিশু-মৃত্যু নিয়ে মমতা

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যবাসীকে আস্বস্ত করতে অ্যাডেনো ভাইরাসে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'এতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ৫ হাজার বেড আমরা রেডি করে রেখেছি, বাচ্চাদের কিছু হলে বাচ্চাদের যাতে কেউ ফিরিয়ে না দেয়। ৬০০ শিশু চিকিৎসক রেডি করা আছে'। একইসঙ্গে পরিবার-পরিজনদের শিশুদের যত্ন নেওয়ার পরামর্শও দেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Mar 2023,
  • अपडेटेड 4:05 PM IST
  • অ্যাডেনো আতঙ্ক অব্যাহত রাজ্যে
  • মৃত্যু হয়েছে ২টি
  • বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত অ্যাডেনো ভাইরাসে (Adenovirus) ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, অ্যাডেনো ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রায় রোজই মনিটরিং করি। ১২টা কেসের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি ২টো অ্যাডেনো ভাইরাস। ১০টা কেস হতে পারে কো-মর্বিডিটি। কারও হয়ত সেপসিস হয়েছে, কারও হয়ত রিপিটেড অ্যাটাক হয়েছে। কোনওটা পালমোনারি হেমারেজ, কোনওটা ওজন কম। নানারকম সিনড্রোম আছে'। 

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যবাসীকে আস্বস্ত করতে অ্যাডেনো ভাইরাসে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'এতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ৫ হাজার বেড আমরা রেডি করে রেখেছি, বাচ্চাদের কিছু হলে বাচ্চাদের যাতে কেউ ফিরিয়ে না দেয়। ৬০০ শিশু চিকিৎসক রেডি করা আছে'। একইসঙ্গে পরিবার-পরিজনদের শিশুদের যত্ন নেওয়ার পরামর্শও দেন মমতা। তিনি বলেন, 'বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। কিন্তু বাচ্চদের দিকে বেশি নজর দিয়ে, বাইরে না নিয়ে বেরোনোটাই ভাল'। সদ্যোজাত থেকে ২ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বুধবারই এক বিবৃতি জারি করেছে সরকার। সেখানে বেশকিছু পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। 

১. একটি স্ট্যান্ডার্ড কেস ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দেওয়া হয়েছে।
২. ২৪x৭ ভিত্তিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে।
৩. এমজিপিএস, এইচএফএনও, সিপিএপি, পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর ইত্যাদির মতো অক্সিজেন এবং অক্সিজেন সরবরাহের সরঞ্জামের যোগান ও সম্পূর্ণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
৪. প্রতিটি সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতালে পৃথক পেডিয়াট্রিক এআরআই ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা পেডিয়াট্রিক জরুরি পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে।
৫. একটি ২৪X৭ হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে (নং ১৮০০-৩১৩-৪৪৪-২২২)।
৬.  মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে ব্লক হাসপাতালের স্তর পর্যন্ত একটি হাব এবং স্পোক মডেলে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা পরিষেবাগুলি টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রাথমিক সনাক্তকরণ ও পরিচালনা সক্ষম করার জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
৭. ফিল্ড লেবেলের কর্মীদের কমিউনিটি পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ও সচেতনতা জন্য তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন - অফিসে কাজের মাঝে ঢুলুনি আসে? সকালে এই কাজগুলি করলেই থাকবেন চনমনে

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement