Advertisement

Kamarkundu Station Flyover: কামারকুণ্ডু উড়ালপুল রেল না রাজ্যের? উদ্বোধন করে জবাব মমতার

হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় কামারকুণ্ডু স্টেশনের পাশে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ৯৯৫ মিটার দীর্ঘ উড়ালপুল তৈরি করেছে রেল ও রাজ্য। শুক্রবার সেটির উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়েছিল জলঘোলা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 Jun 2022,
  • अपडेटेड 5:25 PM IST
  • কামারকুণ্ডু উড়ালপুলের উদ্বোধন করলেন মমতা।
  • উদ্বোধন বিতর্কে জবাব মুখ্যমন্ত্রীর।

কামারকুণ্ডুতে রেল ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে তৈরি সেই উড়ালপুলের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বিতর্কের জবাবও দিলেন। দাবি করলেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই এই উড়ালপুলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। 

হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় কামারকুণ্ডু স্টেশনের পাশে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ৯৯৫ মিটার দীর্ঘ উড়ালপুল তৈরি করেছে রেল ও রাজ্য। শুক্রবার সেটির উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়েছিল জলঘোলা। রাজ্য সরকারের তরফে একতরফা উদ্বোধনের প্রতিবাদে চিঠি দিয়েছিল রেল। তাদের দাবি, ওই উড়ালপুল নির্মাণে ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ দিয়েছে রেল। বাকি ১৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছে রাজ্য। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এই উড়ালপুলের জন্য শুধু অর্থ বরাদ্দ নয় জমিও দিয়েছে রাজ্য সরকারই। এবং তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।    

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,হুগলিবাসীর জন্য সুখবর। তারকেশ্বর, বিষ্ণুপুর, আরামবাগ রেললাইনের জন্য টাকা অনুমোদন করেছিলাম। এর মধ্যে ছিল এই উড়ালপুলও। ৫৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৩৪ কোটি টাকা ও জমি দিয়েছি। বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি, আরামবাগের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। পাশে সাবওয়ে তৈরি হবে।' অর্থাৎ জমি ও সিংহভাগ টাকা রাজ্য সরকারই দিয়েছে বলে রেলের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন

অনেক দিন ধরে তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে উড়ালপুলটি। ৩০ এপ্রিল উদ্বোধনের কথা ভেবেছিল রেল। আমন্ত্রণ জানানো হয় হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে। পরে তা স্থগিত করা হয়। ইতিমধ্যে শুক্রবার উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার চিঠি দেন হুগলির জেলাশাসককে। ওই চিঠিতে সেতু উদ্বোধনের সংক্রান্ত খবরের কথা জানতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ওই সেতুর উদ্বোধন করলে রেলমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানাতে হবে বলে জানান হয় রেলের চিঠিতে। রেলমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য যৌথ ভাবে ওই সেতু উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ জানতে চাওয়াও হয়।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement