আজ দিঘা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ দিনের পূর্ব মেদিনীপুর সফরে দিঘায় যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী। পুরীর আদলে দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে কপ্টারে চড়ে দিঘায় যাবেন মমতা।
জানা গিয়েছে, বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় ফেরার কথা তাঁর।
প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ ধাম। মন্দির নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। পুরীর আদলে দিঘায় একটি জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। তবে কবে মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দিঘা রেল স্টেশনের পাশেই ভগিব্রহ্মপুর মৌজায় ২৫ একর জমির উপর চলছে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ। ২০১৮ সালে ২০০ কোটির এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজের সূচনা হয়েছিল ২০২২ সালের অক্ষয়তৃতীয়ার দিন থেকে। কয়েক মাস আগে মন্দির নির্মাণ- সহ পরিকাঠামোগত উন্নয়ের যাবতীয় কাজ পরিদর্শন করেন নির্মাণকারী সংস্থা হিডকো’র ভাইস চেয়ারম্যান হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক তথা কাঁথির মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য।
আগামী বছর থেকেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা পালন করা হবে এ বছর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন মমতা। তিনি লিখেছিলেন, 'আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, পুরীর ঐতিহ্যশালী জগন্নাথ মন্দিরের অনুরূপে পশ্চিমবঙ্গে দীঘায় আমরা জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার একটি গর্ব-উদ্দীপক মন্দির তৈরি করছি যেখানে প্রতিবছর রথযাত্রাও পালিত হবে। আগামী বছর থেকেই এই মন্দিরে রথের রশিতে টান পড়বে। কিছু অন্যরকম কথা শোনা গেলেও প্রকৃত বাস্তব হল, কিছু কারিগরি কাজ ও পদ্ধতি এখনো অসম্পূর্ণ থাকায় আমরা আগামী বছর থেকেই দীঘায় রথযাত্রা পালন করব। পুরীর মন্দিরের রথযাত্রা যেভাবে পালিত হয় সেভাবেই ভক্তি ও শ্রদ্ধায় পালিত হবে দীঘার রথযাত্রা। সবাই সেখানে আমন্ত্রিত। এই নূতন মন্দির ও উৎসব হবে সারা ভারতের নতুন সম্প্রীতি-সাধনের প্রকল্প। জয় জগন্নাথ!' *( বানান অপরিবর্তিত)।