গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে এই প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আজ থেকেই ১২ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে আরও ৬০ হাজার টাকা। সরাসরি আজই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। এতেই শেষ নয়, আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের প্রথম মাসের মধ্যেই সেই টাকা দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সে বছরের শুরুতেই বাড়ির তৈরির টাকা দেওয়ার ঘোষণা রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আজ কারা টাকা পাবেন?
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আজ একটা ঐতিহাসিক দিন। রাজ্য সরকার তার সীমিত ক্ষমতা সত্ত্বেও নিজের টাকা থেকে বাংলার বাড়ি গ্রামীণ প্রকল্পে রাজ্যের ২১টি জেলার ১২ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা তুলে দিচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে টাকা। এজন্য খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।'
আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা
রাজ্যজুড়ে আবার সার্ভে করেছি। প্রায় ৩৬ লক্ষ সার্ভে করা ছিল। আমরা আবার সার্ভে করেছি। ২৭ হাজারেরও বেশি টিম ৩৫ লক্ষ মানুষের বাড়িতে গিয়েছে। ২৮ লক্ষের বেশি যোগ্য রয়েছে। মধ্যে ১২ লক্ষকে আজ দিচ্ছি। বাকি থাকবে ১৬ লক্ষ যোগ্য। আগামী ৬ মাসে, তারপরের ৬ মাসে, ২৬ প্রথমের মধ্যেই দিয়ে দেব। মে-জুনের মধ্যে দেব, ৮ লক্ষকে, পরের ডিসেম্বর জানুয়ারিতে বাকি ৮ লক্ষকে দেব।'
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সূচনা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এদিন বিঁধেছেন মমতা। বলেছেন, 'আবাস যোজনায় বাংলা ১ নম্বরে ছিল। ৩ বছর ধরে বাংলার গরিব মানুষরা বঞ্চিত।গত ৩ বছর ধরে টাকা দেয়নি কেন্দ্র সরকার। ৩ বছর ৬৯টা টিম পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, কোনও লাভ হয়নি। মুখে বলে অভিযোগ রয়েছে। দেখেছে, সার্ভে করেছে, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে, কিন্তু লাভ হয়নি।' অন্য দিকে, ১০০ দিনের কাজে টাকা না-পাওয়ার প্রসঙ্গও এদিন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'সবমিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই কেন্দ্রের কাছ থেকে। আমরা ভিক্ষা চাই না, ন্যায্য অধিকার চাই।'