এক ছাদের তলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিতে। চলতি বছরের শেষে আরও এক বার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি হতে চলেছে রাজ্যে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই শিবির। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জমি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে দুয়ারে সরকারে গেলে তার সুরাহা মিলবে। পাশাপাশি, জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে সমস্যাও খতিয়ে দেখা হবে এই কর্মসূচিতে। জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'কয়েক জন অফিসারের জন্য জমি নিয়ে বদনাম হচ্ছে আমাদের। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।'
অন্য দিকে, 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' কর্মসূচি প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে বহু আবেদন পেয়েছি। রিভিউ করেছি। ৯ লক্ষ লক্ষ্মীর ভান্ডারের কেস এসেছে। অনেকে চাকরির আবেদন করেছেন। যখন চাকরি হবে, ওই তালিকা থেকে ডাক পাবেন, যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁদের দেখব।' শিলিগুড়ির সভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২ লক্ষ পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হবে। তিনি বলেন, '১ কোটি ১৫ লক্ষের বেশি পড়ুয়াকে সাইকেল দিয়েছি।' ১ কোটি ১ লক্ষ কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়েছেন মমতা।
বস্তি এবং উদ্বাস্তু কলোনির নয়া নামকরণ করেছেন মমতা। বলেছেন, 'এখন থেকে বস্তির নাম হবে উত্তরণ। উদ্বাস্তু কলোনির নাম হবে স্থায়ী ঠিকানা, পাট্টা দেওয়া হবে।' চা বাগান অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, 'চা বাগান অধিগ্রহণ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করতে চাই। যে সব চা বাগান দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, সেগুলি অধিগ্রহণ করে শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া হবে।' একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২টি চা বাগান খোলার প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে একটি কালচিনির বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'বিষয়টি মুখ্যসচিবকে দেখতে বলেছি।' মমতা বলেন, 'সবাইকে পাট্টা দেব। সারা বাংলায় দেব। যে সব চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই সব বাগানের শ্রমিকদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।'