'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ষকদের রক্ষাকারী। গণধর্ষণের ঘটনায় যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেও দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী এবং তৃণমূলের যুব নেতা।' এ ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার তিনি দুর্গাপুরে সেই নির্যাতিত তরুণীর খোঁজ নিতে যান। পাশাপাশি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। তার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি তোপ দাগেন। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীই হলেন রাজ্যের বোঝা। তাঁর জন্যই রাজ্যের এমন দশা। পাশাপাশি এই রাজ্যে মহিলা সুরক্ষা কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাসপাতালে যান রাজ্যপালও
পরিস্থিতি যাচাই করতে সোমবার বিকেলে হাসপাতালে যান রাজ্যপালও। তিনি সেখানে গিয়ে কথা বলেন তরুণীর পরিবারের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
তার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, 'যা ঘটেছে তা অত্যন্ত জঘন্য। আমাদের সকলের একসঙ্গে দাঁড়িয়ে বলার সময় এসেছে, থামো, নাহলে আমরা এটা বন্ধ করে দেব। পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য আমরা সবকিছু করব।'
এছাড়া তিনি বাংলায় নব জাগরণের পক্ষেও দাবি তোলেন। তাতেই নারী সুরক্ষা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মত তাঁর।
ওড়িশার মহিলা কমিশনও পৌঁছে যায় বাংলায়
নির্যাতিতার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বাংলায় আসে শোভনা মোহান্তির নের্তৃত্বাধীন একটি দল। তবে তাঁদের হাসপাতালে ঢোকার সময় বাধা দেওয়া হয়। যার ফলে সেই দলের পক্ষ থেকে সরকারকে তোপ দাগা হয়। নারীদের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন না বলে মমতা বলে অভিযোগও করেন তাঁরা।
সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে
ঘটনাস্থলে যাদের উপস্থিতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী। পাশাপাশি তদন্ত ঠিক ঠাক এগচ্ছে বলেই জানান তিনি।
যদিও তদন্ত নিয়ে একবারেই খুশি নয় বিরোধীরা। তাদের মতে পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপরও দেওয়া হচ্ছে চাপ। যাতে তাঁরা সত্য প্রকাশ না করতে পারে। আর এই অভিযোগ শুধু বিজেপি নয়, বরং সকল বিরোধীরাই একযোগে করছে।