বুধবার ভরসন্ধ্যায় ফের উত্তর চব্বিশ পরগনার টিটাগড়ে প্রকাশ্যে শ্যুটআউট। বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছে মহম্মদ হাসানকে। মাদক-মামলায় জেল থেকে মুক্তির তিন মাসের মধ্যেই খুন হতে হল ওই ব্যক্তিকে। এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করেই গুলি চলেছে, এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এই ঘটনায় ঘুরিয়ে পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
বুধবার বাড়ির সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মহম্মদ হাসানের মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যখন ফের একবার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তখনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন অর্জুন সিং। 'পুলিশের উর্দির ভয় দিন দিন মানুষের মন থেকে মুছে যাচ্ছে। যার ফলে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না। আর তার কারণে টিটাগরের মতো ঘটনা ঘটছে।' এমনটাই মন্তব্য করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
বুধবার ভরসন্ধে টিটাগড়ে অরুণপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মহম্মদ হাসান ওরফে ছোটকা নামে এক যুবক খুন হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এসেছে। সপ্তাহ দেড়েক আগেও এমনি ঘটনা ঘটেছিল। এবার এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই আংশিক প্রশ্ন তুলে দিলেন অর্জুন সিং। তার অভিমত দুস্কৃতীদের হিরোইন বিক্রির দখলদারি নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই খুন। তিনি বলেন 'আমি যতদূর জেনেছি হেরোইন ব্যবসায়ীদের ভাগ বাটোরা নিয়েই খুনের ঘটনা ঘটেছে। ইতিহাস সাক্ষী আছে ব্যারাকপুরের মাটিতে অপরাধের সঠিক বিচার না হলে তার পাল্টা হয়।' শিল্পাঞ্চলের দুষ্কৃতী দৌরত্ব কমাতে অপরাধীর বাড়ির সদস্যদের শায়েস্তা করার নিদানও দেন সাংসদ। অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকাতে পুলিশকে আরো বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথাও জানান সাংসদ। না হলে এই খুনের ঘটনা আরো দিনে দিনে বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে বুধবারের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম রাজা ওরফে মহম্মদ আরমান ও তার সঙ্গী মহম্মদ কবীর ওরফে ছোটু। ব্যারাকপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাংসদ অর্জুন সিং এই ঘটনার পর পুলিশি সক্রিয়তা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে, টিটাগড় এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই কাউন্সিলের অনুগামীরা। লাঠি-বাঁশ দিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হয় দু'পক্ষই। সেই ঘটনায় সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আকাশ প্রসাদ নামে এক তৃণমূলকর্মীর।