দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে মাতলা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে কেটে ফেলা হল ম্যানগ্রোভ বন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হোম স্টের সুবিধার্থে পরিকল্পিতভাবে এই গাছ কাটা হয়েছে। ঘটনায় বন দফতরের কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, মাতলা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডলের প্রচেষ্টায় সরকারি উদ্যোগে এই এলাকায় ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু শনিবার রাতে গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন চলাকালীন সুযোগ নিয়ে কেউ বা কারা গোটা বাগান উজাড় করে দিয়েছে। সকালে উঠে গ্রামবাসীরা দেখেন, একটিও গাছ অবশিষ্ট নেই। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
অভিযোগ উঠেছে, নদীর দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য হোম স্টে কর্তৃপক্ষ এই গাছ কেটেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট হোম স্টের মালিক পক্ষ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তারা দাবি করেছে, বন দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছাড়া এত বড় অনিয়ম সম্ভব নয়। তবে কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ শাহাজাদ শেখ আশ্বাস দিয়েছেন, বন দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে এবং কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামবাসীদের একাংশ দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। প্রশাসন জানিয়েছে, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদদাতা: প্রসেনজিৎ সাহা