গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। দিল্লিতে প্রায় ১০ ঘন্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ জানা গিয়েছে, জেরায় অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি প্রসঙ্গে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের আগে থেকেই তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিলেন তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকে একাধিকবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে, বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ এমনকী, দিল্লিতে ডেকেও তাঁকে জেরা করা হয়৷ এছাড়া, অনুব্রতর এই হিসাবরক্ষের কাছ থেকে বহু সম্পত্তির নথিও নেয় সিবিআই ও ইডি৷ সেই মত তাঁর বোলপুরের অফিস ও বাড়িতে হানাও দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
সদ্য অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)৷ তাঁকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসারেরা ৬ দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনার তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তার পরেই ডেকে পাঠানো হয় হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে৷ এদিন প্রায় ১০ ঘন্টা তাঁকে জেরা করেন ইডি-র অফিসারেরা৷ জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়েও তাঁকে জেরা করা হয়৷ মণীশ কোঠারির দেওয়া তথ্যের সঙ্গে জেরায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন অফিসারেরা৷ তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
গোয়েন্দা অফিসাররা মনে করছেন, তথ্য লুকনোর চেষ্টা করছেন মণীশ। মণীশ ও অনুব্রতকে এদিন মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এর আগেও অনুব্রতকে মণীশের বয়ান রেকর্ড করে শুনিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, বোলপুরের বাসিন্দা চার্টাড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারীই দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডলের সমস্ত সম্পত্তির হিসাব রাখতেন৷ তাই প্রথম থেকে সিবিআই (CBI) ও ইডির নজরে ছিলেন তিনি। বীরভূমে কান পাতলেই শোনা যায়, মণীশের হাতেই ছিল অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির চাবিকাঠি। কালো টাকা কোন পথে সাদা করা হবে, সে হিসেবও নাকি কষতেন মণীষই। তাই দিল্লিতে ডাক পড়ার পরই তাঁর গ্রেফতারির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল এবার। বুধবার তাঁকে পেশ করা হবে আদালতে।
আরও পড়ুন -