বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ খুঁজছিল মাওবাদী মাস্টার মাইন্ড সব্যসাচী গোস্বামীকে। এতদিনে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন মোস্ট ওয়ান্টেড সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বেঙ্গল ইনচার্জ সব্যসাচী গোস্বামী। ওরফে বাবু ওরফে কিশোর ওরফে পঙ্কজ ওরফে অজয়। জানা যাচ্ছে, একাধিক ছদ্মনাম তাঁর। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকার এইচ বি সোদপুর রোড ৬ নম্বর এলাকায়। সূত্রের খবর, এনআইএ তার মাথার দাম রেখেছিল ১০ লক্ষ টাকা।
বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছিল, তিনি নাকি জঙ্গলমহলে নতুন করে সশস্ত্র স্কোয়াড গড়ে তুলছিলেন। নতুন সদস্যদের দলে ঢোকানোর কাজও চলছিল। বৈঠক হচ্ছিল ঘন ঘন। কিন্তু সব্যসাচী গ্রেফতার হওয়ায় সেসবই ভেস্তে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অসমে কিছু মাওবাদী কার্যকলাপের হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি বা এনআইএ। সেখানে কয়েকজন মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই মাওবাদী কার্যকলাপের দায়িত্বে ছিলেন সব্যসাচী। সেইসময়ই তাঁর মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না এই মাওবাদী নেতার। সূত্রের খবর, শুক্রবারই কলকাতায় আনা হচ্ছে সব্যসাচীকে। তারপরই তোলা হবে আদালতে।
এর আগেও একাধিক বার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন সব্যসাচী। ২০০৫ সালে প্রথম তিনি সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন। ২০১৩ সালে ফের তিনি গ্রেফতার হন যাদবপুর থেকে। ২০১৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ২০২১ সালে ফের অসম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রতি বারই জামিন পেয়ে কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেন সব্যসাচী। ২০২২ এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাঁর নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। এবার ফের তাঁকে পুরুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হল।