Advertisement

অয়েল মিলে ভয়াবহ আগুন! উত্‍সবের আবহে কালো ধোঁয়ায় ঢাকল বর্ধমান শহর

পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের প্যামড়ায় অবস্থিত এই তুষ থেকে তেল তৈরির কারখানাটি। জানা যাচ্ছে বেলা একটা নাগাদ যখন আগুন লাগে সেসময় কারখানায় ইলেকট্রিকের কাজ চলছিল। বাতিল যন্ত্রাংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কাটিং এর সময়ই ঘটে বিপত্তি । গ্যাসকাটারের ফুলকি কোনো রকমে তেলের সংস্পর্শে আসায় আগুন ধরে যায় বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বিধ্বংসী আগুনে কারখানা সংলগ্ন জঙ্গলের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ভোজ্য তেলের কারখানায় বিধ্বংসী অগুন
সুজাতা মেহরা
  • বর্ধমান,
  • 16 Nov 2020,
  • अपडेटेड 5:12 PM IST
  • ভোজ্য তেলের কারখানায় বিধ্বংসী অগুন
  • কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় ঢাকল চারপাশ
  • দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা

সোমবার ভাইফোঁটা উপলক্ষে বর্ধমান শহরের কমবেশি সব বাড়িতেই ছিল উৎসবের মেজাজ। এর মাঝেই ছন্দপতন শহর সংলগ্ন প্যামড়া এলাকায়। বিধ্বংসী আগুন লাগল একটি রাইস অয়েল মিলে। এদিনে দুপুরে অন্যদিনের মতই এই কারখানায় কাজ হচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎই আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় দ্রুত চারপাশ ঢেকে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। এই বিধ্বংসী আগুন দেখে এলাকার বাসিন্দারা রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। তবে শেষ পর্যন্ত আগুনের তীব্রতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় নি বলে বড় ক্ষতি এড়ানো গেছে। 

কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় ঢাকল চারপাশ

পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের প্যামড়ায় অবস্থিত এই তুষ থেকে তেল তৈরির কারখানাটি। জানা যাচ্ছে বেলা একটা নাগাদ যখন আগুন লাগে  সেসময় কারখানায় ইলেকট্রিকের কাজ চলছিল।  বাতিল যন্ত্রাংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কাটিং এর সময়ই ঘটে বিপত্তি  । গ্যাসকাটারের ফুলকি কোনো রকমে তেলের সংস্পর্শে আসায় আগুন ধরে যায় বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বিধ্বংসী আগুনে কারখানা সংলগ্ন জঙ্গলের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কারখানার কর্মীরা সকলে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারায় হতাহতের কোনও খবর নেই। 

খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় পরে আরেকটি ইঞ্জিনকে আনতে হয়।  দু'টি ইঞ্জিনের ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। কালীপুজো, ভাইফোঁটার ছুটি চলায় কারখানায় অনেক কম কর্মী এদিন কাজ উস্থস্থিত ছিলেন না। বাদবাকি কর্মীরা সকলে নিরাপদে বেরিয়ে আসায় অগ্নিকাণ্ডে কেউ জখম হননি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তেমন বেশই নয় বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও কারখানার গুদামে প্রচুর ভোজ্য তেলের টিন ছিল, যা অতি দাহ্য পদার্থ। পাশাপাশি কারখানার পাশ দিয়ে তেলের পাইপলাইন যাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও ছিল।  ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনাও ছিল। 

Advertisement

তেল কারখানার ম্যানেজার অশোক সরাফ জানান, কারখানায় পড়ে থাকা বাতিল যন্ত্রাংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কাটার সময়ই বিপত্তি ঘটে।গ্যাসকাটারের ফুলকি থেকে আগুন ধরে যায়। তবে ফাঁকা জায়গায় বাতিল যন্ত্রাংশ গ্যাসকাটার দিয়ে কাটা হচ্ছিল। না হলে তেল পাইপে আগুন ধরে যেত। সেই ক্ষেত্রে ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারতো। দমকলকর্মী ভাস্কর পাল দাবি করেন, আগুন বড় আকারে ছড়ানোর আগেই দ্রুত তা নিয়ন্ত্রেণ আনা হয়,নইলে বিপদ বড় হতে পারত। এদিনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত তদন্তে নেমেছ দমকল ও পুলিশ উভয়ই। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement