পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল এলাকা। বধূকে ধর্ষণের পরে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ ওঠা প্রতিবেশী সুখচাঁদ মাইতির উপর গ্রামের মহিলাদের রোষের মুখে পড়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তার। রবিবার এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সুখচাঁদ মাইতির বিরুদ্ধে তার প্রতিবেশী এক মহিলাকে ধর্ষণ ও বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে। সেই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে রবিবার সকালে তার মৃত্যু ঘটে। এই খবর গ্রামে পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মহিলারা। তারা অভিযুক্ত সুখচাঁদকে তার বাড়ি থেকে টেনে বের করে ব্যাপক মারধর করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্তকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মারধর করা হয়। ভিডিওটির সত্যতা 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন' যাচাই করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আহত অবস্থায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠায়। তবে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মহিলার মৃত্যু এবং গণপিটুনিতে অভিযুক্তের মৃত্যুর বিষয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।’’
মহিলার ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে।
এদিকে পুলিশের হাতে থাকা ভিডিওর ভিত্তিতে গণপিটুনির ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের মৃত্যু এবং মহিলার হত্যার দুইটি ঘটনাই বর্তমানে পুলিশের অধীনে তদন্তাধীন রয়েছে। পটাশপুরের এই নৃশংস ঘটনার পর এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।