হাওড়া পুরসভার বেহাল পরিষেবা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, মানুষ তাঁর কাছে নিয়মিত অভিযোগ করছেন। আর সমস্যা আছে বলেই মানুষ অভিযোগ করছেন। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
গত ৬ বছরের বেশি সময় হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় প্রশাসক বদল করে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুরসভা চলছে। মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভার সদর দফতরে নতুন কন্ট্রোল রুম এবং কনফারেন্স রুম উদ্বোধনে এসে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়।
তিনি হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান, বোর্ডের সদস্য, কমিশনার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার হচ্ছে না। বৃষ্টিতে জল জমে যাচ্ছে। রাস্তা খারাপ। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ করছেন। সমস্যা আছে বলেই মানুষ অভিযোগ করছেন। তাঁদের অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা এবং সমস্যার সমাধান করা উচিত। পুরসভার এই খামতি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন নির্বাচন এলে তবে বোঝা যাবে। তবে পরিষেবার ক্ষেত্রে খামতির কথা তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন।
এ প্রসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে কাজের শেষ নেই। কোনও এক জায়গার রাস্তা তৈরি হলে অন্য জায়গার রাস্তা ভাঙতে পারে। তাই সব সময় আরো ভালো পরিষেবার সুযোগ আছে। কীভাবে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে অরূপ রায় বলতে চেয়েছেন। আমরা তাঁর পরামর্শ মেনে চলব।
এদিকে, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক উমেশ রায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এতদিন আমরা বিরোধীরা এসব কথা বলছিলাম। আর এখন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী নিজে একথা বলছেন। ২০১৮ সালের পর নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় হাওড়া পুরসভার পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। এর উত্তর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ দেবেন।