বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এই সপ্তাহেই মাঠে নামার কথা বলেছিলেন বিজেপির তারকা মুখ মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মতোই ভরা বর্ষায় মাঠে নামলেন সুপারস্টার। আর ময়দানে নেমেই মহাগুরুর স্টাইলে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে মিঠুন বললেন, 'একটা কথা স্পষ্ট ভাবে বলছি, মার খেয়ে বাড়ি আসবেন না, মারলে মারুন।'
এদিন আরামবাগের দৌলতপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দুটি বিধানসভা নিয়ে দলের কর্মী সম্মেলনে হাজির হন মিঠুন। সেখানেই দলের কর্মীদের এমন বার্তা দিলেন তিনি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বুথের কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির তারকা নেতা। এমনকী কোনো অভিযোগ থাকলে ক্লোজ ডোর কর্মী সম্মেলনে কর্মীদের কাছে নিজের হোয়াটস অ্যাপ নম্বর বিলিয়েছেন মিঠুন। দলের নেতা থেকে বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি তাঁকে জানানোর কথা বলেছেন। কর্মী সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কর্মীদের যা বার্তা দেওয়ার দিয়ে দিয়েছি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের নাম না করে পচা নর্দমার সঙ্গে তুলনা করেন মিঠুন।
গত শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী যুদ্ধের কার্যত দামামা বাজিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন। নায়কোচিত কায়দায় মিঠুন বলেছিলেন, 'তৈরি থাকুন, মাঠে নামছি।' কবে থেকে তিনি মাঠে নামছেন, সেই তারিখও জানিয়েছিলেন পর্দার 'ফাটাকেষ্ট'।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে দুর্গাপুরের সভায় মিঠুন বঙ্গবাসীর উদ্দেশে বলেছিলেন, 'আমি রাজনীতি করি না, মানুষনীতি করি। তাই বার বার দৌড়ে আসি কিছু করার জন্য এবার তৈরি হয়ে মাঠে নামছি। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সঙ্গে থাকব, কথা বলব, সমস্যা জানব। মাঠে একসঙ্গে নেমে লড়াই করব। এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গে অনেক দিন মনে থাকবে।'
রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আক্রমণও করেছেন মিঠুন। বলেছেন, 'পুলিশকে বলুন নিরপেক্ষ হতে, তা হলে দেখবেন বিজেপি কী করতে পারে। আমি আপসের রাজনীতি করি না। জীবনে এই ধরনের রাজনীতি করি না। তৈরি থাকুন, ময়দানে নামছি, লড়াইয়ের জন্য।' উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে শামিল হয়েছিলেন মিঠুন। তবে তিনি কখনওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। বিজেপিতে কোনও পদেও নেই মিঠুন।