'২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে BJP যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত,' বললেন মিঠুন চক্রবর্তী। রবিবার কলকাতায় BJP-র মেম্বারশিপ ড্রাইভের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা ও অভিনেতা। মিঠুন বলেন, ‘তৃণমূলের মসনদ আসবে গেরুয়া শিবিরের দখলে’। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যদিও মিঠুনের বক্তব্যে বেশি প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ।
তৃণমূলের হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য নিয়ে মিঠুনের আক্রমণ
মিঠুন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবির BJP সমর্থকদের গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, কিন্তু তা হয়নি।' এরপর মিঠুন পাল্টা বলেন, প্রয়োজনে আমরাও লড়ব, তবে BJP বিরোধীদের গঙ্গায় নয়, কবরেই ফেলে দেবে। এর পরেই ফের বলেন, ‘এটা অভিনেতা মিঠুন নয়, ১৯৬৮ সালের মিঠুন’ কথা বলছে।
সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে সম্মান পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতায় BJP-র সদস্যপদ বৃদ্ধির প্রচারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে সংবর্ধিত করেন। মিঠুন বলেন, নভেম্বর পর্যন্ত এই সদস্যপদ বৃদ্ধির প্রচারে চলবে। অন্তত এক কোটি মানুষকে BJP-র সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ মিঠুন
পশ্চিমবঙ্গে BJP-র লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেন মিঠুনলে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে BJP-র সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২-তে নেমে এসেছে। এরপরেই মিঠুন, '২০২৬ সালের নির্বাচনে BJP ভোটারদের উপর কোনও ধরনের হুমকি বা বাধা আসলে' পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।
তৃণমূলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'মিঠুনকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কেউ গুরুত্ব দেয় না। তিনি যে নেতার কথা উল্লেখ করেছেন, তাঁকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে।' তিনি অমিত শাহর বিজেপির ক্ষমতায় আসার বক্তব্যের সমালোচনা করেন। জানান, ২০১৬, ২০১৯ এবং ২০২১ সালে বিজেপি একই কথা বলেছিল, কিন্তু ফলাফল তাদের বিপক্ষে গিয়েছিল।
খবরটি ইংরাজিতে পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।