ফের ওড়িশা সরকারের ওপর চটলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ওড়িশায় দুই পরিযায়ী শ্রমিক রবিউল শেখ এবং মহির মুন্সিকে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি তোলেন তিনি। তাঁদের কাছে সব বৈধ কাগপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের ফোনে বাংলাদেশি নম্বর সেভ থাকার কারণে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
বিজেপিকে বিঁধে মহুয়া বলেন, "আমার নিজের বাংলাদেশি বন্ধু আছে, কাছের আত্মীয় আছে, তাদের ফোন নম্বর সেভ করে রাখি। এবার কি বাংলাদেশি কারও ফোন নম্বর রাখাও অপরাধ? সংসদে তাহলে একটা বিল পাস করে দিন না, বাংলাদেশি কারও ফোন নম্বর রাখা অপরাধ। তাহলে একটা কারণ থাকবে।" পাশাপাশি তাঁর ওড়িশা সরকারের আর্জি, ওই দুই পরিযাযী শ্রমিককে যেন তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা যা করছে তা অনুচিত। শীঘ্রই তাদের ছেড়ে না দিলে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মহুয়া।
একদিন আগেই মহুয়া নদিয়ার ২৩ জন শ্রমিককে বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ আনেন ওড়িশা পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান মহুয়া। তখনও অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের কাছে ভারতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও তাঁদের অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপিকে বিঁধে মহুয়া দাবি করেন, নবীন পট্টনায়কের ২৪ বছরের শাসনে এই অভিযোগ ওঠেনি। শ্রমিকদের ছাড়া না হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। এদিন আরও একবার একথা স্মরণ করিয়ে দেন সাংসদ।