Advertisement

'কাটমানি' নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য থানার OC-র, চাঞ্চল্য বড়ঞায়

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল কাটমানি-বিতর্ক। বিভিন্ন জেলায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতাকে। এবার খোদ পুলিশের মুখে কাটমানির অভিযোগ উঠে আসায় সেই বিতর্ক ফের একবার উস্কে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। 

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • মুর্শিদাবাদ,
  • 26 Oct 2022,
  • अपडेटेड 10:41 PM IST
  • ফের কাটমানি-বিতর্ক
  • এবার সরব থানার ওসি
  • বক্তব্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

'কাটমানি' নিয়ে এবার প্রকাশ্যে সরব থানার ওসি। আর যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো রাজনৈতিক মহলে। রাস্তা তৈরিতে কাটমানি (Cut Money) নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব মুর্শিদাবাদের বড়ঞা (Barwan Murshidabad) থানার ওসি সন্দীপ সেন। একইসঙ্গে আগের ওসিদের বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও। 

ওসি (OC) সন্দীপ সেনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বড়ঞা থানার সাহোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক ঠিকাদার রাস্তা তৈরি করার জন্য ৪০ শতাংশ কম দর দিয়ে টেন্ডার পেয়েছিলেন। কেন ওই ঠিকাদার ৪০ শতাংশ লোকসান করে কাজের কোটেশন দিয়েছিলেন তারও হিসেব দেন সন্দীপবাবু। ওসির কথায়, "সেই কন্ট্রাক্টর নিজে ২০ পার্সেন্ট খেয়েছে। বিডিও অফিসে ৪ পার্সেন্ট দিয়েছে । আগের ওসিকে ৫ পার্সেন্ট দিয়েছে। আর খ্যাঁকশিয়ালের বাচ্চাদেরকে আরও প্রায় ৫ পার্সেন্ট দিতে হয়েছে। ১০০ টাকার মধ্যে ২৫ টাকা দিয়ে ঘণ্টা কাজ হবে!" তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সরকার একটা প্রকল্পের জন্য ১০০ টাকা খরচ করছে। কিন্তু কাটমানি খেতে খেতে সেটা আসলে ২৫ টাকায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে খ্যাঁকশিয়াল বলতে অবশ্য তিনি কাদের বুঝিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে ওই পুলিশ কর্তা বলেন, এলাকায় সরকারি প্রকল্পের কাজ হলে তা বুঝে নিন। ওসির কথায়, "আমি বিধায়ককে বলে দিয়েছি একটা রিকনস্ট্রাকশন কমিটি করতে। সেখানে সব ভাল ভাল ছেলেরা থাকবে।"

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল কাটমানি-বিতর্ক। বিভিন্ন জেলায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতাকে। এবার খোদ পুলিশের মুখে কাটমানির অভিযোগ উঠে আসায় সেই বিতর্ক ফের একবার উস্কে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement