মর্শিদাবাদে রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ করল বিজেপি। তাদের দাবি, রেজিনগরে একটার পর একটা বাড়ি ভাঙচুর করা হল। অগ্নিসংযোগ করা হল। কোনও পুলিশি ব্যবস্থা নেই। অথচ দুর্বৃত্তদের উপর গুলি চালায়নি পুলিশ। পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ করেনি।
রেজিনগরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা মমতার বিরুদ্ধেই উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,'সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছেন। আল্লাহ নামে দোয়া করছেন, যাতে জয় শ্রী রামের নামে কেউ দাঙ্গা না লাগায়। রামচন্দ্রের জন্মদিনের মিছিলকে দাঙ্গার মিছিল বলে আগেই তকমা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষকে সমানে উস্কানি দিয়ে গিয়েছেন। যে রাম মন্দিরের মিছিল কোনও জায়গায় হয়, তাকে আক্রমণ করা যেতে পারে। এটা মুখে না বললেও তাঁর মতো রাজনৈতিক উচ্চতায় থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
গেরুয়া শিবিরের কাঠগড়ায় অধীর চৌধুরীও। শমীক বলেন,'মুর্শিদাবাদে সম্প্রীতি বলতে কী বোঝায় সেখানকার সংখ্যালঘুরা ভালোই বোঝেন। রাজনৈতিকভাবে হতাশ অধীর চৌধুরী যে ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছেন, তা কার্যত মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণ। প্ররোচনা আর উস্কানি দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর ইঁট, পাথর ছোড়া হল। বাড়ি থেকে বোমা, পাথর ছোড়া হচ্ছে। একটার পর একটা বাড়ি ভাঙচুর করা হল। অগ্নিসংযোগ করা হল। কোনও পুলিশি ব্যবস্থা নেই। দুর্বৃত্তদের উপর পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রেজিনগরে পুলিশের চেনা চেহারা দেখা গেল না। উল্টে পুলিশ অবরোধ করে দিল। যাতে বাইরে থেকে কেউ যেতে না পারে। ভিতরে লাগাতার ভাঙচুর চলল'।
বিজেপির বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক অশান্তি বাধানোর অভিযোগ করেছেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন,'আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, পরশু দিনের ঘটনা কারা ঘটিয়েছিল? বিজেপি। তারপরের দিনের ঘটনা কারা ঘটাল? আমি চ্যালেঞ্জ করছি সেটাও বিজেপি। হামলাও ওরা করেছে। বিজেপির বিধায়ক দলবল নিয়ে গেছে রামনবমীর মিছিলে। অস্ত্র নিয়ে মিছিলে গিয়ে আপনাকে কে আক্রমণ করতে বলেছে? কে অধিকার দিয়েছে ?মা দুর্গা অধিকার দিয়েছিল, ওষুধ বধ করার জন্য। আপনাদের মতো অশুভ শক্তিকে বিনাস করার জন্য। রাম তো মা দুর্গাকে চোখ দিয়েছিল। আর আপনারা মানুষের চোখ তুলে নিচ্ছেন।'