শনিবার মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি। সাধারণ মানুষকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ারও আশ্বাস দিলেন ডিজি।
শনিবার ডিজি রাজীব কুমারের বক্তব্য ১০ পয়েন্টে-
- পুলিশ সবসময়ে নিজেদের সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তাই বলে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। কড়া হাতে দমন করতে হবে।
- কোনও গুজবে কান দেবেন না। আমাদের একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এটা খারাপ মানুষের বিরুদ্ধে ভাল মানুষদের লড়াই, মনে রাখবেন। আমাদের এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
- আজ হনুমানজয়ন্তীর দিন অনেক জায়গায় কর্মসূচি থাকে। এই দিনে আমি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করব, কোনও রকমের গুজবে কান দেবেন না। আগুন নিয়ে খেলবেন না।
- কিছু মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে ওয়াকফ বিল নিয়ে। ভুল তথ্য, বুঝে হঠাৎ আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, এমনটা হলে আমরাও কড়া আইনি পদক্ষেপ নেব। কোনওভাবেই হিংসার ঘটনায় ছাড় দেওয়া হবে না।
- গতকাল থেকেই গুজব ছড়াচ্ছে। আর আজ সকালেও একটা খারাপ ঘটনা করেছে।
- আমরা ওখানে ১৬৩ জারি করেছি। এলাকার মানুষকে সেখানেই থাকতে বলা হচ্ছে।
- পুলিশের নম্বর সবাইকে দেওয়া হচ্ছে। কিছু হলেই যাতে তাঁরা কাছের থানায় জানাতে পারেন।
- মানুষের জীবন রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। আইন হাতে তুলে নিলে আমরা তার পাল্টা পদক্ষেপ নেব।
- গুলি চালনার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, 'আজ সকালে একটা খবর ছড়াল যে একজন নাকি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত। কিন্তু পরে জানা গেল তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। ফলে এমন গুজব ছড়ানো হলে আরও অশান্তি বৃদ্ধি পাবে। এখন ভুল তথ্য ছড়ানোর সময় নয়। কলকাতায় বসে ভুল তথ্য ছড়ানো হলে গ্রাউন্ডে কাজ করা পুলিশকর্মীদের কাজে সমস্যা হয়।'
- যদি প্রাণ দিতে হয় আমরা আগে দেব। কিন্তু সাধারণ মানুষের আবেগের সঙ্গে যেন খেলা না করা হয়।
মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জের অশান্তির একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভ পরিণত হয় হিংসা, ভাঙচুরে। কোথাও বিডিও অফিস ভাঙচুর করা হয়, কোথাও জাতীয় সড়কে একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। ভিডিও, ছবি দেখে এখনও পর্যন্ত শতাধিক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।