অভিষেক চড় কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাশিস আচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু। তলমুক জেলা হাসপাতালে এদিন ভোর বেলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ভর্তি করে দেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কী করে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও অস্পষ্ট। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডিপুরে মঞ্চে উঠে তৎকালীন তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারে দেবাশিস আচার্য। তারপরেই সেই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তারপর থেকে তেমন একটা দেখা পাওয়া যায়নি তাকে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা কনিষ্ক পাণ্ডার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই নেতাকে। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। সেখানে দেবাশিসকে সঙ্গে বসিয়ে কনিষ্ক পাণ্ডা অভিষেকের উদ্দেশ্য নাম না করে বলেন, "ভাইপো চিনতে পারছো? ৪ বছর পরে তুমি আসছ। একে দেখো, এই সেই আমার ভাই। সেদিন তোমার গালে চড় মেরেছিল। তবে এবার কিন্তু ও আর মারবে না। তবে একটা কথা বলে রাখি মদন মিত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছে, ওই কথা আবার বললে এই ভাই যেমন আছে মেদিনীপুরের, এমন কয়েকশো ভাইও তৈরি আছে। সাবধান ভাইপো।" কনিষ্ক পান্ডার সেই ভিডিওটির সত্যতা আজ তক বাংলা যাচাই করেনি। তবে ভিডিওটি আপলোড করতেই রীতিমতো তা ভাইরাল হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে তিন বন্ধু মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেবাশিস আচার্য। সোনাপেতা টোল প্লাজার কাছে একটি চা দোকানে তিন বন্ধু চা খান। বন্ধুদের দাবি, তারপরেই দেবাশিস আচার্য কারোর ফোন পেয়ে বেরিয়ে যায়। আর ফেরেনি। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে দুপুরে মৃত্যু হয় দেবাশিস আচার্যের। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু এবং কারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করল, তার উত্তর এখনও অস্পষ্ট। অন্যদিকে, ঘটনার কথা জানতে পেরেই তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, তমলুক থানার আই সি সহ পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। কি ভাবে এই ঘটনা তা নিয়ে অন্ধকারে সবাই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।