শহরে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণহানির ঘটনায় চিন্তায় রাজ্য সরকার। এই সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
সল্টলেকে দু'টি বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারায় চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়া। ২১৫এ নম্বর রুটের দু’টি বাস রেষারেষি করছিল। এরপর এলাকায় বাড়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ। ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিক্ষুব্ধ জনগণ। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ বৈঠকের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আজ বৈঠকে বসবেন।
এ ছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন সরকারি পরিবহণ নিগমের প্রতিনিধি ও বেসরকারি বাস এবং অন্যান্য যানবাহন মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।
প্রসঙ্গত, বেপরোয়া গতিতে দু’টি বাস রেষারেষি করার সময় জোরে ধাক্কা মারে একটি স্কুটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেক চত্বরে। এর আগে বেহালায় লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। তারপর সম্প্রতি বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির ছাত্রর। অভিযোগ উঠছিল পুলিশি নজরদারির। সল্টলেকের ঘটনাও আরও একবার সেই প্রশ্ন উস্কে দিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল ছুটির পর দুই ভাইকে নিয়ে কেষ্টপুর থেকে স্কুটি চালিয়ে ফিরছিলেন তাঁদের মা। সেই সময় দু'টি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে ধাক্কা মারে স্কুটিতে। ছিটকে পড়েন তিনজন। তার মধ্যে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মৃতের মা ও ভাই। জানা যায়, মৃত শিশুর নাম আয়ুস পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।