Advertisement

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-বিনয় তামাং বৈঠক, কী বললেন মুকুল রায়

''পাহাড়ে অশান্তি তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন এই তৈরি করা অশান্তিকে কীভাবে সামাল দেবেন তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন।''

মুকুল রায়। ফোটো- পিটিআইমুকুল রায়। ফোটো- পিটিআই
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 03 Nov 2020,
  • अपडेटेड 4:52 PM IST
  • মুখ্যমন্ত্রী-বিনয় তামাং বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়
  • বিজেপি নেতার দাবি, পাহাড়ে অশান্তি মমতার তৈরি
  • তবে সুষ্ঠু সমাধান না মিললে পাহাড়ে আবার আগুন জ্বলবে

নিবার্চনের আগে কলকাতায় বিমল গুরুংয়ের আবির্ভাবে আন্দোলিত রাজ্য রাজনীতি। তিন বছর পাহাড় থেকে নির্বাসন নেওয়ার পর হঠাৎ তিনি কেন এলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। এই আবহেই এবার গুরুংকে ঠুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বিনয় তামাং এবং অনিত থাপা। মঙ্গলবার বেলা তিনটেয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তাঁরা। এদিন বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়

এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বললেন, ''পাহাড়ে অশান্তি তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন এই তৈরি করা অশান্তিকে কীভাবে সামাল দেবেন তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। এসব মিটিং করে কী লাভ হবে জানা নেই তবে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি একটা সুষ্ঠু সমাধান না হলে ফের পাহাড়ে আগুন জ্বলবে।'' 

প্রসঙ্গত, এই বৈঠকের আগে বিনয় তামাং সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে বিমল গুরুং সম্পর্কে তাদের দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। শিলিগুড়িতে আয়োজিত মিটিং থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাহাড়ে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোই তাঁর মূল লক্ষ্য। বিনয় তামাংয়ের সাংবাদিক বৈঠকে মূল লক্ষ্যই ছিলেন গুরুং।

আরও পড়ুন

২০১৭ সালে বিমল গুরুং পাহাড় ছাড়ার পরেই নিজেকে মোর্চার প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন বিনয় তামাং। বিনয়কে জিটিএ-এর শীর্ষ পদে বসান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে মোর্চার অন্দরের ফাটল প্রকাশ্যে চলে এলেও পাহাড়ে আপাত ভাবে শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু আচমকাই বিমল গুরুং-এর প্রকাশ্য আসা ও তৃণমূলকে সমর্থনের ঘোষণায় নতুন করে আন্দোলিত হয়েছে পাহাড়ের রাজনীতি। কারণ গুরুং-এর অনুপস্থিতিতে পাহাড়ের একচ্ছত্র আধিপত্য চলে যায় বিনয়-অনিতদের হাতে। 

আর এই সমস্ত রসায়নই বেশ স্পষ্ট মুকুলের কাছে। অন্তত মঙ্গলবার বৈঠক সম্পর্কে মুকুলের মন্তব্য সে দিকেই দিক নির্দেশ করছে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement